স্বতন্ত্র নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশগ্রহণের শর্তে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি হতে রাশিয়া এবং বেলারুশের জিমন্যাস্টদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। ইউক্রেনে প্রতিবেশী রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর রুশ জিমন্যাস্টদের উপর নিষেধাজ্ঞা আসে। রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার জন্য বেলারুশ জিমন্যাস্টরাও হন নিষিদ্ধ।
আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন (এফআইজি) রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান জিমন্যাস্টদের উপর থেকে নিরপেক্ষতার শর্তে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তটি জানিয়েছে। আগামী বছর প্যারিস অলিম্পিকে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে অবশ্য রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উপরই সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এফআইজি’র কার্যনির্বাহী কমিটি বলেছে, ‘কঠোর শর্তে, রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান ক্রীড়াবিদদের এফআইজি অনুমোদিত ইভেন্টে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা নিজ দেশের ফেডারেশন এবং অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা রাখতে পারবে না।’
এফআইজি সভাপতি মরিনারি ওয়াতানাবেস বলেছেন, ‘স্বাধীন নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান জিমন্যাস্টদের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে এফআইজি নিশ্চিত করছে যে, সকল ক্রীড়াবিদদের অধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে। বিশ্বকে একটি বার্তা পাঠাচ্ছে যে, জিমন্যাস্টিকস শান্তি চাইছে।’
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) চলতি বছর রাশিয়া এবং বেলারুশের কিছু ক্রীড়াবিদকে প্যারিস অলিম্পিকসহ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে সুযোগ দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছে।
ফুটবল এবং ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে রাশিয়া সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় আছে। রাশিয়াকে ফুটবলে ছেলেদের ও মেয়েদের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
টেনিস এবং সাইক্লিংয়ে বেশিরভাগই রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান। দলীয় ইভেন্টে অংশ নিতে পারছেন না।
আইওসি’র সভাপতি থমাস বাখ বলছেন, ‘প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ানদের অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াবিদরা কতটা ভালো আচরণ করে সেটির উপর নির্ভর করছে।’