এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন–চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক ২০২৫’ পেলেন সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই পদক পেলেন তিনি।
সম্প্রতি সোমবার চ্যানেল আই–এর চেতনা চত্বরে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
রুনা খানের ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পরিবেশ সংরক্ষণ পদক। প্রকৃতিভিত্তিক জীবনমান, জীবিকা উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে ফ্রেন্ডশিপ-এর অবদান আজ বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত।
গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে রুনা খানের ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের সবচেয়ে জলবায়ু–ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো যেমন উপকূল, চর ও নদীভাঙনপ্রবণ এলাকায় টেকসই সমাধান তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ভাসমান হাসপতালের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা, উপকূলীয় ও চর অঞ্চলে জলবায়ু কার্যক্রম, শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে চরাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ তৈরি, প্রান্তিক জগোষ্ঠীর টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা, সংস্কৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ, যা ফ্রেন্ডশিপের সমন্বিত অভিযোজন মডেলেরই অংশ।
উপকূলীয় অঞ্চলে ফ্রেন্ডশিপের ম্যানগ্রোভ বনায়ন প্রকল্পে ৬২ কিলোমিটার নদীর তীর জুড়ের দুই শতাধিক হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছে লাখো গাছ। যা নদীর বাঁধ বাঁচানোর পাশাপাশি কেবল জলবায়ু সহনশীল জীবিকাই গড়ে দিচ্ছে তা নয়, বরং সেখানকার সবুজায়ন ও জীববৈচিত্রকেও দ্রুত গতিতে পুনরুজ্জীবিত করছে।
ভাসমান হাসপতালের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে চরাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ তৈরি, প্রান্তিক জগোষ্ঠীর টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা, সংস্কৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ, যা ফ্রেন্ডশিপের সমন্বিত অভিযোজন মডেলেরই অংশ। সম্প্রতি ফ্রেন্ডশিপ পরিবেশের নোবেল খ্যাত যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম প্রবর্তিত ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট ক্যাটাগরিতে সমন্বিত অভযোজন মডেলের জন্য দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫ অর্জন করে।









