ঘানার বক্সের ভেতর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ট্যাকল করেন সালিসু। রেফারি দ্রুতই পেনাল্টির বাঁশি বাজালে সফল স্পট কিকে জাতীয় দলের হয়ে ১১৮তম গোলটি করে বসেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। একইসঙ্গে টানা পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করার অনন্য রেকর্ড গড়েন। মহাতারকা এই রেকর্ডকে রেফারির ‘বিশেষ উপহার’ বলছেন পরাজিত ঘানার কোচ নানা অত্তো আদ্দো।
ঘানার কোচ বলেছেন, ‘যদি কেউ গোল করে, তাকে অভিনন্দন। কিন্তু এটি সত্যিই একটি উপহার ছিল। সত্যিকার অর্থেই একটি উপহার। আমি আর কী বলতে পারি? এটা রেফারির কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশেষ উপহার ছিল।’
আমেরিকান রেফারি ইসমাইল এলফাথেকে নিয়ে আদ্দোর সমালোচনা এতটাই তীব্র ছিল যে, তার ব্যাপারে ফিফা কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর ঘানার কোচ এক কথায় উত্তরে দেন, ‘রেফারি’।
রোনালদোকে ঘানার ডিফেন্ডার সালিসু মোটেও পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর মতো ফাউল করেননি বলেই আদ্দোর জোরাল দাবি। তার অভিযোগ, পেনাল্টি দিতেই নাকি ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত অফিসিয়ালরা ভিএআর ব্যবহার করেননি। পর্তুগাল অধিনায়ক মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে সালিসুর ঊরু তার পায়ের সঙ্গে সামান্য সংঘর্ষ হওয়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।
আদ্দো বলেছেন, ‘আমি মনে করি পেনাল্টি দেয়াটা আসলেই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমি জানি না কেনো ভিএআর ব্যবহার করা হয়নি। আমার কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। একটি বিশ্বমানের দলের বিপক্ষে যখন তারা সিদ্ধান্ত দেয়, তখন পরিস্থিতি কঠিন হয়।’
৪৭ বর্ষী ঘানার সাবেক ফুটবলার আদ্দো এবার জাতীয় দলের কোচ হয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ মিশনে এসেছেন। পেনাল্টির বিষয়ে তিনি রেফারি ইসমাইল এলফাথের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ করেছেন, তার খেলোয়াড়দের অনেকবার ফাউল করা হলেও বিষয়টি নাকি রেফারি বেমালুম এড়িয়ে গেছেন।
‘আমি দেখা করার চেষ্টা করেছি। ফিফার বাইরে কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, রেফারির সাথে শান্তভাবে কথা বলতে পারি কিনা। কিন্তু তারা বলেছে, তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন এবং দেখা করা সম্ভব নয়।’