ঘটনা ভারত-শ্রীলঙ্কা চলতি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা ননস্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন ৯৮ রানে অপরাজিত। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বল করার অপেক্ষায় মোহাম্মদ শামি। তিনি মানকাড আউট করে দেন শানাকাকে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তখন শামির সঙ্গে কথা বলে আউটের আবেদন তুলে নেন। পরে সেঞ্চুরি পান লঙ্কান অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক বলেছিলেন, এই প্রক্রিয়ায় লঙ্কান অধিনায়ককে আউট করতে চাননি। অবশ্য খেলার ফল ততক্ষণে ভারতের হাতে চলে গিয়েছিল।
রোহিতের ওই সিদ্ধান্তকে সবাই স্বাগত জানালেও পুরো প্রক্রিয়ায় অখুশি তার স্বদেশি অলরাউন্ডার রবীচন্দ্র অশ্বিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ‘ননস্ট্রাইক প্রান্তে বোলারের ওরকম আউট করা একটি বৈধ প্রক্রিয়া’ মনে করিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় অশ্বিনকে ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী ‘মানকাডিং’ আউট করতেও দেখা গেছে।
‘যদি লেগবিফোর বা কট বিহাইন্ডের জন্য আবেদন করেন এবং নিশ্চিত থাকেন, তবে কেউ-ই ক্রোড়পতির সরথ কুমার বা অমিতাভ বচ্চনের শোয়ের মতো আবেদন করবে না। বোলাররা আবেদন করলে আউট হলে আউট দিয়ে দেবে এবং ঘটনা এখানেই শেষ। যদি একজন খেলোয়াড়ও আবেদন করে তবে আম্পায়ারের দায়িত্ব আউট হলে দিয়ে দেয়া।’
মানকাডিং আউট সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা রুলবুক অনুসরণ না করায়ও বেজায় চটেছেন অশ্বিন।
‘এটা খুবই বিস্ময়ের যে এই আউট নিয়ে আমাদের চারপাশে অনেক ট্যাবু রয়েছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বা আবেদনের বা সিদ্ধান্তের পুরোটাই বোলারের উপর নির্ভর করে, তাই না? অনেক খেলায় ব্যাটার আউট হলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে চলে যান। এক্ষেত্রে অধিনায়ক ব্যাটারকে জিজ্ঞাসা করবে কার সিদ্ধান্তে চলে এসেছ? দলের স্বার্থের কথা কি ভুলে গেছো? যাও আবার ব্যাট করো! অনেক বছর ধরে বোলার এবং ব্যাটারদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটছে।’
তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০তে এগিয়ে আছে। রোববার তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে আছে রোহিতের দল।