আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরে ১০ বছরের খরা ঘুচিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া ছিল ভারত। ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্বার গতিতেই ম্যান ইন ব্লুরা ছুটছিল। পুরো বিশ্বকাপজুড়ে অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলে টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে যায় টিম ইন্ডিয়া। শিরোপা নির্ধারণী খেলায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ট্রফিটা অবশ্য অধরাই থেকে যায়।
১৪০ কোটির অধিক জনসংখ্যার দেশ ভারতে ক্রিকেট এক উন্মাদনার নাম। পৃথিবীর মধ্যে ভারতীয়রাই সবচেয়ে বড় ক্রিকেট পাগল জাতি। খেলার মাঠে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। দল জিতলে সমর্থকরা হন জয়ের আনন্দে উন্মাতাল, পরাজয়ে হয় কেঁদেকেটে একাকার। আর তাতেই বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর বেশ চিন্তিতই ছিলেন রোহিত শর্মা।
নেটফ্লিক্সে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোতে হাজির হন রোহিত। কথার একপর্যায়ে তিনি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বিষয়ে মুখ খোলেন। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের ভাষ্য, ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম দেশের সবাই আমাদের উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু তার পরিবর্তে আমাদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের জন্য প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি।’
লিগপর্বের নয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে সেমির টিকিট কাটে স্বাগতিকরা। শেষ চারের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যায়। রোহিতের মতে, পাইলটবিহীন মহাকাশযানের মতো দুর্দান্ত গতিতে দলটি ছুটে যাচ্ছিল।
‘ম্যাচের দু’দিন আগে আমাদের দল আহমেদাবাদে ছিল এবং আমরা অনুশীলন করেছিলাম। দলটি ভালো গতি বজায় রেখেছিল, যেন পাইলটবিহীন মহাকাশযানে ছিল।’
ফাইনালের বিবরণ দিতে গিয়ে ৩৬ বর্ষী ওপেনার বলেন, ‘ম্যাচ শুরু হলে আমরা ভালো সূচনা করি। শুভমন গিল দ্রুত আউট হয়ে গেলেও বিরাট কোহলি এবং আমার একটা জুটি ছিল। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, ভালো একটা স্কোর তুলতে পারবো।’
‘আমি মনে করি, বড় ম্যাচে আপনি যদি রান তুলে বিপরীত দলের উপর চাপ তৈরিতে সক্ষম হন, তবে এটি ভালো দিক। কারণ যেকোনো দল চাপের মধ্যে পিছলে যেতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এমনকি আমরা প্রায় ৪০ রানের ভেতর তাদের তিন উইকেট নিতে পেরেছিলাম। কিন্তু এরপরে তাদের লম্বা একটা জুটি ছিল।’