
রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ এবং মানবাধিকারের বিষয়টি অবশ্যই মেটা শেয়ারহোল্ডারদের এজেন্ডার শীর্ষে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টি টেকের ডেপুটি ডিরেক্টর প্যাট ডি ব্রুন।
৩১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মেটার বার্ষিক শেয়ারহোল্ডার সভার আগে তিনি মন্তব্য করেন। আজ ২৯ মে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্যাট ডি ব্রুনের বরাত দিয়ে এই কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে প্যাট বলেন, মেটা তার দায়িত্ব পালন করেছে এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগণের জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কিছু না করাটা নিন্দনীয়।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে। ফেসবুকের অ্যালগরিদম এখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক ঘৃণার জন্ম দেয়, যা সহিংসতার পেছনে অনেকটাই অবদান রেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই মারাত্মক বঞ্চনার পরিবেশ ও অসহায় শরণার্থী শিবির আটকা পড়ে আছে। অন্যদিকে, মেটা তার ব্যবসায়িক মডেল থেকে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে চলেছে যা রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার জন্য অবদান রেখেছিল।
মেটা শেয়ারহোল্ডারদের উচিত তাদের মিটিংয়ে রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের অধীনে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করা। সংস্থাটির উচিত মানবাধিকারের বিষয়ে তাদের সামগ্রিক পদ্ধতির পুনর্বিবেচনা করা, যাতে করে অন্য কোথাও এ রকম সহিংসতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মেটাকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যে একটি পিটিশন হস্তান্তর করছে। পিটিশনটিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হাজার হাজার সদস্য ও সমর্থকের স্বাক্ষর করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দেখতে পায়, মেটার অ্যালগরিদম এবং মুনাফার আকাংখা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতায় যথেষ্ট অবদান রেখেছিল।