কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন লাগার ৩ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক ‘অতীশ চাকমা’ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণে কাজ চলছে।
এবিষয়ে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ৯ টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ পর্যন্ত ২ হাজারের কাছাকাছি ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হলেও তা নিশ্চিত করে বলতে আরও সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

৮ এবিপিএন এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিকেল ৩ টার দিকে হঠাৎ করে আগুন দেখা যায়। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাম্পের ঘরগুলো পাশাপাশি হওয়ায় আগুন ১২, ১১, ১০ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের সূত্রপাত কি কারণে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সন্দেহজনক এক যুবকে আটক করেছে এপিবিএন ও পুলিশ। আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ঘর, ২২ হাজার মানুষ, ৩৫ টি মসজিদ, বিভিন্ন এনজিও, স্কুল, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসহ ৫২ টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবেই জানা গেছে। নাশকতার বিষয়টি উড়িয়ে না দিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে নাশকতার অভিযোগে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও কলিমুল্লাহ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ও রোববার সকালে কয়েকটি ছোটখাট ঘটনা ঘটেছে আমাদের ক্যাম্পে।আমরা আশঙ্কা করছি সন্ত্রাসীরাই আগুন দিয়েছে আমাদের ক্যাম্পে।
এর আগেও একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়ে ছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর।