কক্সবাজারে উখিয়ায় আশ্রয় শিবির থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি- আরসা’র ছয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ই-ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলো- উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের কে-১২ ব্লকের বাসিন্দা আমির হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ আরব (২৪) এবং একই আশ্রয় শিবিরের কে-৬ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ নূরু (৩১), এফ-২৩ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ছালেহ’র ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), এম-১৯ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মোহাম্মদ হারুন (২৮), এম-১১ ব্লকের বাসিন্দা জাহিদ হোসেনের ছেলে মো. মীর কাশিম ওরফে হামিদ হোসেন (২২) ও এম-১৯ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবু সিদ্দিকের ছেলে হাফিজুল আমীন (২৫)।
পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, বৃহষ্পতিবার মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লকের জনৈক আবুল ফয়েজের দোকানের সামনে পাকা সিঁড়িতে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে র্যাব ও এপিবিএন এর যৌথ দল অভিযান চালায়। আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১৫ জন সন্দেহজনক ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ৬ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় আটকদের দেহ তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী একটি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।
আটকদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাদি আদায়ের জন্য আটকরা অবস্থান করছিল। তারা (আটকরা) মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরসা’র সক্রিয় সদস্য।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।