বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গড়েছেন ইতিহাস। তার পরিচয় নিয়ে উপমহাদেশের পাঠকের রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ।
বিবিসি ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে ঋষির ব্যক্তিগত ও কর্ম বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-
১.
১৯৮০ সালের ১২ জুন ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটনে জন্ম। নাম করা প্রাইভেট স্কুল উইনচেস্টার কলেজে পড়াশোনার পরে গ্র্যাজুয়েশন করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন।
২.
১৯৩০ সালের দিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তার পূর্বপুরুষ ভারত উপমহাদেশ থেকে পূর্ব আফ্রিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন।
৩.
ঋষির আদি পুরুষরা পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালার বাসিন্দা ছিলেন, যা এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাবের অন্তর্গত।
৪.
ঋষির বাবা যশবীর এবং মা ঊষা গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। তার বাবা একজন চিকিৎসক ও মা একটি ফার্মেসির মালিক ছিলেন।
৫.
গণতান্ত্রিক দেশগুলির নেতাদের মধ্যে সম্ভবত ঋষি হলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রপ্রধান।
৬.
ভারতীয় ধনকুবের এবং আইটি সেবা কোম্পানি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সাথে ঋষি প্রেম এবং বিয়ে হয়। দুটো মেয়ে রয়েছে এই দম্পতির।
৭.
ঋষি ও তার স্ত্রী অক্ষতার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ড। রাজা চার্লসের থেকেও বেশি সম্পত্তি রয়েছে তাদের। ব্রিটেনের ২২২তম ধনী দম্পতি তাঁরা।
৮.
ঋষি সুনাক ২০১৫ সালে প্রথম উত্তর ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার কাউন্টির রিচমন্ড এলাকার এমপি হন। ব্রেক্সিট এর পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। তিনি সবসময় শক্ত অভিবাসন নীতির পক্ষে কথা বলেন। টেরিজা মে’র সরকারে ঋষি সুনাক স্থানীয় সরকার বিভাগে জুনিয়র মন্ত্রী হন। পরে বরিস জনসন ক্ষমতা নেওয়ার পর তাকে পদোন্নতি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি নিয়োগ করেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করলে অর্থমন্ত্রী হন ঋষি সুনাক।
৯.
বরিস জনসনের পদত্যাগের পরপরই নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রার্থী হন ঋষি সুনাক। প্রচারণায় তিনি নিজেকে চৌকস একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসাবে তুলে ধরেন। তার প্রচারণার প্রধান বার্তা ছিল – কোভিড এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ব্রিটিশ অর্থনীতি ভীষণ সংকটে এবং তার প্রধান কাজ হবে এর সমাধান করা।
১০.
মাত্র ৪২ বছরের ঋষি সুনাক হবেন ব্রিটেনের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী এবং ১৮১২ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী।