সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে বলিউড ‘ভাইজান’ সালমান খানকে খুন করতে ছক তৈরি করে ফেলেছিল প্রয়াত পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনিরা। যদিও শেষমেশ ভেস্তে যায় সালমানকে হত্যার সেই পরিকল্পনা। তবে এবার বিস্তারিত জানা গেল সেই হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে।
সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপের তিন সদস্য কপিল পণ্ডিত, সচিন বিষ্ণোই ও সন্তোষ যাদবকে। তাদের জেরা করেই সালমানকে হত্যার ছকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সময় থেকেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে পড়েন সালমান। মুম্বাইয়ে অভিনেতার বাড়িতে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয় বলেও অভিযোগ।
সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার পর ওই তিন শার্পশুটারের টার্গেটে ছিল সালমান খান। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘ভাইজান’কে হত্যা করতে একটি আবাসনে ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন ওই তিন খুনী। সেখান থেকে সালমানের গতিবিধির উপর নজর রাখতেন তারা। শুধু তাই নয়, সুপারস্টারকে খুনের জন্য ‘প্ল্যান বি’ ছিল লরেন্স বিষ্ণৌইয়ের।
‘নিউজ ১৮’-এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, সালমানকে হত্যার দায়িত্ব বর্তেছিল কপিল পণ্ডিতের উপর। অভিনেতার বাংলোর কাছে মুম্বাইয়ের পানভেলে একটি ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন কপিল ও সন্তোষ যাদব। প্রায় দেড় মাস ধরে সালমানের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন তারা। তাদের কাছে পিস্তল, কার্তুজ ছিল। তারা এও জেনেছিলেন যে, গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে সালমানের গাড়ি কম গতিতে চলে।
এতেই শেষ নয়, সালমানের বাংলো সংলগ্ন রাস্তায় কোথায় কত গর্ত আছে, তা সম্পর্কেও অবগত ছিলেন শুটাররা। নায়কের ভক্ত পরিচয় দিয়ে বাংলোর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্ধুত্বও পাতিয়েছিলেন শার্পশুটাররা। রক্ষীদের থেকে সালমানের খবরাখবরও নিতেন তারা। এমনকি সালমানকে খুন করতে তার বাংলোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু কোন কারণে সেই ছক বানচাল হয়ে যায়।
সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের পরই হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন সালমান ও তার বাবা সেলিম খান। এরপর মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন সালমান। যার ফলে অভিনেতাকে বন্দুক রাখারও লাইসেন্স দেওয়া হয়।
সূত্র: ফার্স্টপোস্ট