গুণী নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, সাহিত্যিক, অভিনেতা ও গীতিকার হিসেবে সফল ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনকে হারানোর চার বছর বুধবার (১৪ ডিসেম্বর)। আর এই দিনে তাঁকে নানাভাবে স্মরণ করছে জীবদ্দশায় তার কর্মক্ষেত্র এফডিসি ও নিজ জন্ম শহর জামালপুরের মানুষ।
চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানালেন এই গুণী নির্মাতার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। বাবার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগে থেকেই জামালপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি ও তার পরিবার।
এদিন সকাল থেকেই বাবা আমজাদ হোসেনের আত্মার শান্তি কামনা করে কবর জিয়ারত, কোরান খতম করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ছিলো মিলাদ মাহফিলের আয়োজন। একইসঙ্গে সকাল ১১টায় জামালপুরের স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বরেণ্য এই নির্মাতার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বলেও জানান দোদুল।
তিনি বলেন, জামালপুর শিল্পকলা একাডেমি বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাবাকে নিয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। সেখানে জেলার গুণী মানুষেরা বাবার জীবন ও কর্ম নিয়ে কথা বলবেন। একই সঙ্গে পরিচালক সমিতির উদ্যোগে ঢাকায় এফডিসিতেও বাবাকে স্মরণ করা হচ্ছে। সেখানেও দোয়া মাহফিল রয়েছে।
ব্রেন স্ট্রোক করে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মারা যান এই কিংবদন্তী নির্মাতা। আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমি পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।