ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যথানাশক ট্যাবলেটের নামে চেতনানাশক ট্যাবলেট সেবন করিয়ে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে কথিত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিলে ওই নারী বাদী হয়ে রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই কথিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।
শনিবার (২৪ জুন) রাত ১১টার দিকে ধামরাই পৌরশহরের ছোট চন্দ্রাইল মহল্লায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোমরে ব্যথাজনিত কারণে ওই গৃহবধূ ধামরাই পৌরশহরের ছোটচন্দ্রাইল মহল্লার শান্ত মেডিকেয়ার নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যান। ওই মেডিকেল সেন্টারের কথিত চিকিৎসক সুকান্ত রায় মিঠুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীকে জানান, অনেক পাওয়ারফুল ইনজেকশন দিতে হবে তাই আপনি বাড়ি চলে যান। আমি ওষুধ নিয়ে আপনার বাড়িতে আসছি। এরপর রাত ১১টার দিকে ওই চিকিৎসক রোগীর বাড়িতে ইনজেকশন দিতে যান। এরপর একটি ভুয়া নামে ইনজেকশন লিখে দিয়ে ওই রোগীর স্বামীকে জানান, আমার কাছে এই ইনজেকশন নেই। সহজে অন্য কোথাও পাবেন না। তাই বড় বড় ফার্মেসিতে গিয়ে খুঁজে নিয়ে আসবেন।
ওই চিকিৎসক ব্যথা উপশমের কথা বলে রোগীকে চেতনাশক ওষুধ সেবন করান। এরপর তিনি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। রোগীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্য লোকজন ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান ওই চিকিৎসকের অপকর্ম। এ সময় কথিত ওই চিকিৎসক লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ওই রোগীর স্বামী ইনজেকশন না পেয়ে ফিরে এসে ঘটনা শুনে স্ত্রীকে নিয়ে ধামরাই থানায় যান ওই কথিত চিকিৎসকের নামে মামলা করতে। পুলিশ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে।
এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার ওই ভিকটিম জানান, সুকান্ত রায় মিঠুন রাতে বাড়ি গিয়ে আমাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে আমার ইজ্জত লুট করে। আমি থানায় মামলা করতে না পেরে আদালতে মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে ওই চিকিৎসক সুকান্ত রায় মিঠুন বলেন, আমি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করিনি। আমাকে বেঁধে রেখে আমার নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি মামলা করার কথা জানালে উল্টো আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, এ ঘটনায় কেউ আমাদের কাছে মামলা করতে আসেনি।