রাজশাহীর আমের কদর জগৎজোড়া। আর তা যদি এক অর্ডারেই হাতে পৌঁছে যায় তাহলে তো আরও ভালো। সরাসরি উদ্যোক্তার বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে দেশবাসীর হাতে নির্ভেজাল আম পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দেশের সর্ববৃহৎ এসএমই অনলাইন মার্কেট ঐক্য ডটকম ডটবিডির পণ্যতালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজশাহীর আম।
রাজশাহীর পবা উপজেলার দুয়ারি গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ সাইফুর রহমান শ্যামার আমবাগান থেকে ১৮০ কেজি আম সংগ্রহের মাধ্যমে ঐক্য ডটকম ডটবিডি’র এ কার্যক্রম শুরু হয়। আমের মৌসুমে এখন থেকে নিয়মিত ঐক্য ডটকম ডটবিডিতে রাজশাহীর আম পাওয়া যাবে বলে জানান ঐক্য ডটকম ডটবিডির রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মোজাফফর হোসেন মাসুম।
তিনি বলেন, আমরা গোপালভোগ এবং খিরশাপাত আম দিয়ে শুরু করেছি। এরপর ধারাবাহিক ভাবে ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, কাটিমন, হিমসাগর, আম্রপালি, মোহনভোগ, ফজলি, বারি-৪, আশ্বিনা যখন যে জাতের আম ভাঙা হবে, সবই ঐক্য ডটকম ডটবিডিতে পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যেহেতু এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি তাই আমের মৌসুমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নওগাঁর কৃষি উদ্যোক্তাদের বাগানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আম সংগ্রহ করছি। আগামী বছরগুলোতোও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আশা রাখছি।
আমসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের যাবতীয় পণ্য অর্ডার করতে ঐক্য ডটকম ডটবিডি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। অথবা ফেসবুকে ঐক্য অনলাইন শপিং এ অর্ডার করলেও আপনি দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আমসহ যাবতীয় পণ্য ঘরে বসে হাতে পেয়ে যাবেন।
ঐক্য ডটকম ডটবিডির আমগুলো কতোটুকু নির্ভেজাল এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাফফর হোসেন মাসুম বলেন, ঐক্যতে নির্ভেজাল আম যুক্ত করবো এটি আমাদের অনেকদিনের পরিকল্পনা। এ বছর আমের মৌসুম শুরু হলেই আমরা উদ্যোক্তাদের আমবাগানগুলো পরিদর্শন শুরু করি। বাছাই করা কৃষি উদ্যোক্তাদের বাগান থেকে ঐক্য ডটকম ডটবিডিতে আম পাওয়া যাবে। আমরা শুরু থেকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম যারা বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার না করে ফেরোমোন পদ্ধতিতে পোকামাকড় হতে আম রক্ষা করেছেন বা করছেন, ঐক্য শুধু ওই বাগানগুলোর আম নিয়েই কাজ করবে। ফেরোমোন এমন একটি পদ্ধতি যাতে বিশেষ সুগন্ধি ব্যবহার করা হয় যাতে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় ওই কাগজে লেগে থাকে। এতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না এবং কীটনাশকবিহীন ফলের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান মানুষ।
ঐক্য ডটকম ডটবিডির এমন উদ্যোগে দেশবাসী যেমন সরাসরি উদ্যোক্তাদের বাগানের নির্ভেজাল আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তেমনি দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।