রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে তৃতীয়বারের মতো নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।
বুধবার ২১ জুন রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শুরু হয় বিকেল ৫টা থেকে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বর্জন করলেও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ইভিএমের তালিকায় প্রতীকসহ এই প্রার্থীর নাম ছিল।
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রাজশাহীতে সিটিতে এদিন এক হাজার ৮৬০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়াও মাঠে ছিলেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিম ঢাকায় নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন।
রাজশাহীতে এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ জন ও ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার। তবে এরমধ্যে তরুণ ভোটার ৩০ হাজার।