নিজের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে ভারতীয় সিনেমায় সবচেয়ে দ্রুত আর উজ্জ্বল ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এক নাম রাজকুমার রাও। বলিউডে ফর্মুলা ছবির বাইরে আলাদা খ্যাতি রয়েছে তার।
বরাবরই বাস্তবতার কাছাকাছি গল্প বেছে নেন তিনি, পেয়েছেন সাফল্যও। তারই মাঝে সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি থেকে চাউর হয়েছে যে প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখের অদল বদলেছেন।
সম্প্রতি দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্ট থেকে অভিনেতার একটি ছবি ভাইরাল হয়। তা দেখে অনেকেই বলছেন, সৌন্দর্য বাড়াতে নিজেকে ছুরি-কাঁচির নিচে সঁপে দিয়েছেন রাজকুমার রাও। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা স্পষ্ট করে বললেন, ‘এটি প্লাস্টিক সার্জারি নয়!’ ছবিতে কারিগরির প্রভাবে এমনটা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিতর্কটিতে খুব মজা পেয়েছি, সেই নির্দিষ্ট ছবিটিও দেখেছি। সত্যি ওটা দেখে মনে হচ্ছে যেন আসল। তবে আমার অমন নিখুঁত ত্বক নেই। ওখানে তো আমাকে কে পপ তারকাদের মতো দেখাচ্ছে।’
নিজের চেহারায় বয়সের লক্ষণ স্পষ্টভাবে রয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজকুমার বলেন, ‘আমার মুখে বলিরেখা আছে। আমি তো আর ২১ বছরের নেই। অবশ্য তখনো লোকজন আমার চেহারা নিয়ে মন্তব্য করত। আমি যখন অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করি, তখন কাস্টিং, প্রোডাকশনের অনেকেই বলতেন, তুমি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারবে না, নায়ক হতে যা লাগে তা তোমার কাছে নেই।’
ভাইরাল ছবিটিকে ‘টাচ আপ’ উল্লেখ করে মজাও করেন রাজকুমার রাও। তিনি মজা করে বলেন, ‘আমার ত্বক মোটেই অমন চকচকে নয়, যদি হতো তাহলে ভালোই হতো। ছবিটা দেখে আমার অদ্ভুত লেগেছে।’
তিনি আরো জানান, আট-নয় বছর আগে, ‘কাই পো চে’ ছবির পর আমি প্রথমবারের মতো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলাম। তার আগে এই জিনিসগুলির অস্তিত্বও জানতাম না।’ ‘উনি (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) বললেন ‘তোমার চেহারা ভারসাম্যহীন’। আর এটা সত্যি, আমার থুতনি একটু নিচু ছিল। আমি কিছুটা ফিলার ব্যবহার করেছি এবং তারপর আসলে পার্থক্যটি অনুভব করেছি।
হঠাৎ লোকজন আমাকে বলতে শুরু করল ‘তুমি খুব আত্মবিশ্বাসী’। এরপর স্ত্রী, বাধাই দো-র মতো ছবি হল। আমি ভেবে দেখলাম, ভালোই হয়েছে। এটা আমার জীবন, আমার চেহারা। যদি মেডিক্যালিম কিছু পাওয়া যায়, কেন নয়? যদি কিছু আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয়, আমি তা
অবশ্যই করব।- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস