ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। আর দুদিন পরেই ঈদুল ফিতর। প্রতিবারের মতো আসন্ন ঈদেও সপ্তাহব্যাপী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ বাংলা নাটক। টেলিভিশন ও অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন প্লাটফর্মের জন্য এই ঈদেও অসংখ্য নাটক নির্মিত হয়েছে।
অসংখ্য নাটকের ভিড়ে গল্প প্রধান ও একইসঙ্গে তারকা বহুল নাটকের সংখ্যাও কম নয়। তারমধ্যে আছে প্রখ্যাত গীতিকার, নাট্য রচয়িতা রাজীব আহমেদের ৫টি নাটক।
চ্যানেল আই অনলাইনকে রাজীব আহমেদ জানান, এবারের ঈদে আমার লেখা পাঁচটি ভিন্ন ধরনের গল্পে নির্মাতারা কাজ করেছেন। সবগুলো কাজই প্রথমে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হবে, একইসাথে দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেলগুলোতেও।
এই নাট্য রচয়িতা মনে করেন, ভালো গল্পের কাজ হলে অসংখ্য নাটকের ভিড়েও দর্শক সেটা খুঁজে নিবে এবং মূল্যায়ন করবে। গত কয়েক বছরে দর্শকের উপর সেই আস্থা আমার তৈরী হয়েছে।
এরইমধ্যে রাজীব আহমেদের লেখা গল্পে ‘মিস্টার অভিনেতা’ নামের একটি নাটক উন্মোচনের মাধ্যমে ঈদের অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করেছেন সিএমভি। তাদের ইউটিউব চ্যানেলে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মুক্তি পায় অপূর্ব-মেহজাবীন অভিনীত ও রুবেল হাসান পরিচালিত এই নাটকটি। এক দিনের কম সময়ে ইতোমধ্যে নাটকটি ১২ লাখ বার দেখা হয়েছে। নাটকটি দেখে দর্শক তাদের ভালো লাগার কথাও জানাচ্ছেন।
একই চ্যানেল থেকে রাজীব আহমেদের লেখা আরও দুটি নাটক আসবে ঈদ আয়োজনে। তারমধ্যে একটি এসআর মজুমদার পরিচালিত ‘বউয়ের বয়স ১৬?’। নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম ও তানজিন তিশা। একই চ্যানেল থেকে অনন্য ইমনের পরিচালনায় আছে ‘গ্রেট গার্ল্ডফ্রেন্ড’ নামের আরেকটি নাটক। যেখানে জুটি বেঁধেছেন জোভান ও মেহজাবীন।
ঈদকে সামনে রেখে ‘মিস্টার অভিনেতা’র মতো রাজীব আহমেদের লেখা আরও একটি নাটক বৃহস্পতিবার ঈগল প্রিমিয়ার স্টেশনে মুক্তি পেয়েছে। নাটকটির নাম ‘সংসারের চাবি’। ওসমান মিরাজের পরিচালনায় নাটকে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন শামীম হাসান সরকার ও ফারিয়া শাহরিন। এছাড়া আরও রয়েছেন মনিরা মিঠু ও শামীমা নাজনীন।
ঈদের জন্য নির্মিত রাজীব আহমেদের লেখা পঞ্চম নাটকটির নাম ‘হাফ বাড়িওয়ালা’। গোল্লাছুট এর ব্যানারে নির্মিত এই নাটকটির শুটিং শেষ হওয়ার পথে। ঈদ আয়োজনে গোল্লাছুট এর ইউটিউব চ্যানেলেই নাটকটি দেখতে পারবেন দর্শক। যেখানে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জোভান ও তানজিন তিশা।
রাজীব আহমেদ মূলত গানের মানুষ। তার লেখা অসংখ্য গান এখনও মানুষের মুখে মুখে! ‘পাগলা হাওয়া’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, ‘রাখিনি আমায় কেউ’, ‘নদীর বুকে চাঁদ’, ‘ও আমার সখী’, ‘এক আকাশের তারা’র মতো গান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য! গত কয়েক বছরে বাংলা নাটকেও নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন তিনি। এরইমধ্যে তার লেখা বেশকিছু নাটক দর্শক নন্দিত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মিসেস এন্ড মিস্টার চাপাবাজ, চাপাবাজ আনলিমিটেড, শনির দশা, জুঁই তকে একটু ছুঁই, গোল মরিচ, তেজপাতা, আগডুমবাগডুম, পানসুপাড়ি।