রাফিনহাকে নিয়ে চেলসি-বার্সেলোনার টানাটানিটা জমিয়ে তুলেছে লিডস ইউনাইটেড। হাডাহাড্ডি লড়াইয়ে মধুর সমস্যায় এখন ব্রাজিল তারকা। ২৫ বর্ষী উইঙ্গারের চাওয়া প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে লা লিগায় যাওয়া, অর্থের অসঙ্গতিতে সেখানে বাধা বর্তমান ক্লাব লিডস।
জল গড়িয়েছে বহুদূর! রাফিনহা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থ কম হলেও বার্সেলোনায় যাবেন। তিনি ও এজেন্ট ডেকো স্পেনে যাওয়ার অনুমতি দিতে লিডসকে একপ্রকার চাপই দিচ্ছেন। এদিকে অনড় লিডস। চেলসি যেখানে ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ডের কথা দিয়েছে, সেখানে খেলোয়াড় ছাড়তে বার্সার থেকে কম অর্থ পেতে রাজি না ক্লাবটি।
চেলসি, বার্সেলোনা, লিডস এবং রাফিনহা— সববিষয় মিলিয়ে ঝামেলায় পড়েছে চারটি পক্ষই। নতুন মালিকের অধীনে যাওয়া চেলসি খুব করে চাইছে স্টামফোর্ড ব্রিজে আসুন ব্রাজিলিয়ান তারকা। লিডসের সঙ্গে একটি চুক্তিতেও পৌঁছেছে ব্লুজরা। সেখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাফিনহা নিজেই। প্রায় চার মাস আগে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে একটি চুক্তিও নাকি সেরে রেখেছেন তিনি।
২০২০ সালে লিগ ওয়ানের ক্লাব স্তাদে রেনেসিস থেকে লিডসে আসেন রাফিনহা। ইংলিশ ক্লাবটিতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। ইতিমধ্যে চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছেন সেখানে। এবার রশি টানাটানি, কোন ক্লাবে যাবেন অ্যাটাকিং উইঙ্গার!
ব্রাজিল তারকাও শুরুতে ব্লুজ ডেরায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বার্সা আগ্রহ দেখানোয় বেঁকে বসেছেন। কিন্তু লিডস থেমে থাকেনি। জাভি হার্নান্দেজের ক্লাব যে পরিমাণ অর্থ লিডসকে প্রস্তাব করেছে তা চেলসির তুলনায় অনেক কম। সেটাই লিডসের সিদ্ধান্তে বাধা হচ্ছে।
মধুর সমস্যাটি ঝামেলায় রূপ পেতে চলেছে। বার্সা চুক্তি মেনে নিতে লিডসকে চাপ দিচ্ছে। রাফিনহা চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন, সেটাই কাতালান ক্লাবটির জোরাল পয়েন্ট। বিষয়টি যাতে হিতে বিপরীত না হয় সেকারণে ক্লাব দুটির মাঝে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাফিনহার এজেন্ট। চলতি সপ্তাহে স্পেনে গিয়ে বার্সার সঙ্গে আলোচনাও সেরে এসেছেন ডেকো।
চেলসি হোক বা বার্সেলোনা— সবকিছু ঠিক থাকলে গ্রীষ্মে লিডস ছাড়ছেনই রাফিনহা। আবার এমন খবর সবটাই উল্টে যেতে পারে। আসছে মৌসুমেও লিডস জার্সিতে নামতে হতে পারে তাকে। জল শেষপর্যন্ত কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার!