একদিন আগেই কঠিন ব্যথা সহ্য করে দাঁতে দাঁত চেপে টেলর ফ্রিটজের বিপক্ষে টাইব্রেকে লড়াই করে সেমি নিশ্চিত করেছিলেন রাফায়েল নাদাল। আরও একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা স্প্যানিশ কিংবদন্তিকে সেদিন থামাতে পারেনি ডক্টরদের অবসর নেওয়ার কঠিন পরামর্শও। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারলেন কই। পেটের পেশীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিক কিরগিওসের সাথে সেমিতে না খেলেই উইম্বলডনকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে তীব্র ব্যথা নিয়ে খেলেছিলেন নাদাল। দ্বিতীয় সেটে অবস্থা আশঙ্কা জনক মনে হলে চিকিৎসকরা দেন থামার পরামর্শ। তখন গায়ে মাখেননি তিনি। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায় পেটের এক পাশের পেশী ৭ মিমি পর্যন্ত ছিঁড়ে গেছে তার। তাই শেষ পর্যন্ত কোর্টে নামতে পারলেন না ৩৬ বর্ষী তারকা।
‘দুর্ভাগ্যবশত আমি এখানে আছি কারণ আমাকে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে আমি সারাদিন ভেবেছিলাম, কিন্তু আমার মনে হয় আদালতে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। যদিও আমি ক্যারিয়ারে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে এটা সুস্পষ্ট, যদি আমি এখনো চালিয়ে যেতে থাকি তাহলে চোট আরও খারাপ দিকে এগুবে এটুকুই বলতে পারি।’
টেনিস ভক্তরা দীর্ঘদিন পর আবারও আশায় বুক বেধেছিল ফাইনালে নাদাল-জোকোভিচের লড়াই দেখবে। কিরগিওয়াসকে হারাতে পারলেই জোকারের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার। তবে পেরে ওঠেননি। ব্যথা এতোটাই তীব্র যে আর কোনো ঝুঁকি নেওয়ার সাহস করতে পারেননি নাদাল তা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন।
‘আমি সঠিক গতিতে বল মারতে পারছি না। এই মুহূর্তে আরও দুটি ম্যাচ জেতার কল্পনা করতে পারছি না। নিজের সম্মানের জন্য কোনোভাবেই সেখানে যেতে চাই না। আমি এতটা ঝুঁকি নিতে পারি না। প্রতিযোগিতার বাইরে দুই, তিন মাস থাকতে পারি, কারণ এটি আমার জন্য একটি কঠিন জিনিস হতে চলেছে। যদি এটি ঘটে তবে ঘটবেই, সেটা আমি সঠিকভাবে কাজ করছিলাম না বলে নয়।’
এর আগে আরও পাঁচ বার নানা সময়ে চোটের কারণে ম্যাচের আগে প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন রেকর্ড ২২ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী।