টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপের বিমানে উঠবে আর্জেন্টিনা। আসরের হট-ফেভারিট লিওনেল মেসিরা। কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে ২০১৯ সাল থেকে একটি ম্যাচেও হারের স্বাদ পায়নি আলবিসেলেস্তেরা। এই ফেভারিট তকমা হয়ে উঠতে পারে কাল, তৈরি করতে পারে চাপ। অধিনায়ক মেসি অবশ্য বলছেন সেই ‘ফাঁদে’ পা দেবেন না তারা।
গতবছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘুচিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের বাছাইয়ে লাতিন অঞ্চলে পয়েন্ট টেবিলের দুয়ে থেকে শেষ করেছে। ১৯৮৬ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের আশায় বিভোর আর্জেন্টিনা।
তবে সতর্কই থাকছেন মেসি। বিশ্বকাপের ফেভারিট- এমন প্রচারণাকে অবিশ্বাস করতে বলেছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের জর্জ ভালদানোরকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সব জাতীয় দলের জন্যই আজকাল খেলাটা কঠিন। বিশ্বকাপে প্রতিটি দলকে হারানো কঠিন হবে।’
‘আমরা লম্বা সময় অপরাজিত থাকলেও ইউরোপীয় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের খুববেশি খেলা হয়নি। তারাও অবশ্য আমাদের বিপক্ষে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সাউথ আমেরিকার দলের বিপক্ষে খেলাটাও কঠিন।’
‘আমরা ভালো ফর্মে থেকেই চূড়ান্ত পর্বে খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা ফেভারিট এবং শিরোপা জিতব, এমন প্রচারণার ফাঁদে পা দিতে পারি না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে।’
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং ব্রাজিলও হট-ফেভারিটের তালিকায়। দল দুটি আর্জেন্টিনার সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মত মেসির।
‘ফ্রান্স ভালো দল। তাদের কিছু খেলোয়াড় চোটে পড়েছে। কিন্তু তাদের দলে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা প্রতিপক্ষের জন্য ভীতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাদের সেরা খেলোয়াড় এবং একজন কোচ (দিদিয়ের দেশম) আছে। যারা বহুদিন ধরে একসঙ্গে এবং গত বিশ্বকাপে জিতেছে।’
‘ব্রাজিল দলেও অনেক অসাধারণ খেলোয়াড় আছে। বিশেষ করে দারুণসব ফিনিশার, যারা যেকাউকে পেছনে ফেলতে সক্ষত। তাদের নেইমারের মতো দারুণ এক নাম্বার নাইন আছে।’
‘আমাদের দলের অবস্থাটাও ভালোই। ফর্মে থাকা খেলোয়াড়রা আছে। লো সেলসোর চোট দুর্ভাগ্যজনক। সে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লড়াই করব। তবে প্রথমে আমাদের উদ্বোধনী ম্যাচে (সৌদি আরবের বিপক্ষে) জেতার দিকে নজর দিতে হবে।’
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বুধবার প্রীতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। সোমবার আবুধাবিতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেসি।