আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপর কাতারে উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের পর্দা। অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পা রেখেছে। ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে সবার লক্ষ্য এবার বিশ্বমঞ্চে তাদের সেরাটা প্রমাণ দেয়ার পালা।
তবে নামিদামি ক্লাবগুলোর মধ্যে কতজন বিশ্বকাপে খেলবে, কে কোন দেশের জার্সি পরিধান করে মাঠে নামবেন- এসব নিয়ে সবারই থাকে আগ্রহ। এসবের মাঝে সবার দৃষ্টি কেড়েছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। বিশ্বকাপের বাঁশি বাজার আগেই দলটি গড়েছে বিশ্বরেকর্ড।
বার্সার সর্বাধিক ১৭ ফুটবলার এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবেন। কোনো এক আসরে একই ক্লাব থেকে এতো সংখ্যক ফুটবলারের খেলার বিচারে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছে লা লিগার জায়ান্টরা।
এমন রেকর্ডের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ইনজুরি! গোড়ালির চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন স্পেনের ডিফেন্ডার হোসে গায়া। তার বদলে স্কোয়াডে ঢুকেছেন আলেজান্দ্রো বালদে। আর তাতেই বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা।
বিশ্বকাপে খেলবেন বার্সার এমন তারকা ফুটবলারদের ভেতর আছেন- মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন (জার্মানি), রবার্ট লেভান্ডোভস্কি (পোল্যান্ড), রাফিনহা (ব্রাজিল), সার্জিও বুসকেটস (স্পেন) আনসু ফাতি (স্পেন), পেদ্রি (স্পেন), ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং (নেদারল্যান্ডস), উসমানে ডেম্বেলে (ফ্রান্স)।
এছাড়া ম্যানচেষ্টার সিটি এবং বায়ার্ন মিউনিখের ১৬ ফুটবলার এবার বিশ্বকাপে মাঠ মাতানোর অপেক্ষায় আছেন।
ম্যানসিটির খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হল- এডারসন (ব্রাজিল) কেভিন ডি ব্রুইনে (বেলজিয়াম), ইলকায় গুনডোয়ান (জার্মানি),
বুন্দেস লিগার শিরোপাধারী বায়ার্নের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্ব আসরে যেসব তারকা খেলবেন তাদের মধ্যে আছেন- ম্যানুয়েল নয়্যার (জার্মানি), থমাস মুলার (জার্মানি) ও ম্যাথিয়াস ডি লিট (নেদারল্যান্ডস)।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইনজুরিতে পড়ে সেনেগালিজ স্ট্রাইকার সাদিও মানে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে না গেলে বার্সার সঙ্গে রেকর্ড ভাগাভাগি করতে পারতো বাভারিয়ানরা।