সৌদি আরব জাতীয় ফুটবল গত দুই দশক ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তে তাদের ম্যাচ দেখতে ছুটে গেছেন বাদের তুর্কিস্তানি। স্টেডিয়ামে বসে কবিতার ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে দিয়ে যান স্লোগান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি পেয়েছেন তারকা খ্যাতি।
কাতারে এবারের বিশ্ব আসর আয়োজিত হওয়ায় ঘরের মাঠে খেলার মতোই অভিজ্ঞতা হবে সৌদির। কারণ দোহা লোহিত সাগরের উপকূলেই জেদ্দা। আকাশপথে জেদ্দা থেকে দোহার মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্ব। টুর্নামেন্ট চলাকালে বাদের তুর্কিস্তানি কাতারেই অবস্থান করবেন।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ৩৭ বর্ষী সৌদি সুপারফ্যান বলেছেন,কাতারের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা আর সৌদি আরবের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার মধ্যে তেমন পার্থক্য ধরা পড়ে না। শুধু একটা সীমানা দুটি দেশকে দুই ভাগ করেছে। আমরা ৫০ থেকে ৬০ হাজার সমর্থক নিয়ে স্টেডিয়ামগুলো পূর্ণ করে ফেলবো।
১৯৯৪ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই নকআউট পর্বে খেলেছিল সৌদি আরব। প্রায় তিন দশক পর আবারো গ্রুপ পর্বের বাধা গ্রিন ফ্যালকনরা পেরোতে পারবে বলে আশাবাদী সৌদি সমর্থকরা। তাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে গ্যালারিতে থাকা বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী।
গ্যালারিতে বসে সৌদির শতাধিক ম্যাচ দেখা তুর্কিস্তানি বলেন, রাশিয়া বিশ্বকাপে ছিল মাত্র পাঁচ হাজার সমর্থক। কাতারে ৫০ হাজার সমর্থক আমার সঙ্গে কবিতার ছন্দে ছন্দ মিলিয়ে স্লোগান দিতে থাকবে। এই উৎসাহ খেলোয়াড়দের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। আশা করি, আমরা ভক্ত হিসেবে খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে তাদের সর্ব শক্তি বের করে আনবো।
বিশ্বকাপে সৌদি এবার আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের মতো গ্রুপসঙ্গীদের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হবে। তবে আবহাওয়ার মিল থাকায় ঘরের মাঠের মতো সুবিধা থাকায় গ্রিন ফ্যালকনরা তার ফায়দা লুটতে পারেন বলে আশাবাদী তুর্কিস্তানি।
তিনি বলেন, সৌদি ও উপসাগরীয় সমর্থকরা আরব দলগুলোকে সমর্থন করবে। আশা করি অন্য আরব দলগুলোও (কাতার, তিউনিসিয়া ও মরক্কো) সবাইকে চমকে দেবে এবং এই বিশ্বকাপে অনেক দূর যাবে।