যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছে ইরান। এশিয়ার দেশটির যেখানে এক পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল, সেখানে মার্কিনীদের দরকার ছিল জয়। বাজিটা শেষপর্যন্ত জিতেছে গ্রেগ বেরহাল্টারের শিষ্যরা। পরাজয়ের পর ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ বলেছেন, তার দল অন্তত ড্র পাওয়ার যোগ্য ছিল। সঙ্গে বলেছেন, তার দল কাতারে ‘পুরো বিশ্বের সম্মান’ অর্জন করেছে।
‘২০১৮ সালের আগে বলেছিলাম, আগে অনেক ক্লাব এবং জাতীয় দলের কোচ হয়েছি। কিন্তু আমার ক্যারিয়ারে এমন খেলোয়াড় দেখিনি যারা ইরানের খেলোয়াড়দের মতো সবকিছু উজাড় করে দেয় এবং বিনিময়ে কিছুই পায় না। কখনও কখনও ফুটবলে ন্যায্য কিছু হয় না। আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। সমগ্র বিশ্বের সম্মান অর্জনে আমরা সফল হয়েছি।’
প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে না পারার ব্যর্থতার দায়ভারও নিজের কাঁধে নিয়েছেন ইরানের কোচ। তবে ভাগ্য সহায় ছিল না বলেছেন।
‘ফুটবল ঈশ্বর যাদের আশীর্বাদ করেন, তারা গোল পায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গোল করতে পারিনি। ম্যাচের আগে বলেছিলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দুটি ম্যাচে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ছিল। ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের মতো তারা যেভাবে খেলা শুরু করেছিল, আমাদের সঙ্গেও একইভাবে করেছে। তারা আগ্রাসী ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে খেলে এবং গোল পায়। এমনটা দেখে মোটেও অবাক হইনি।’

‘কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি বদলে যায় এবং আমরা বলের দখলে নিতে পারছিলাম। প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছিলাম এবং আমাদের অন্তত একটি গোল প্রাপ্য ছিল।’
ম্যাচের শেষদিকে স্ট্রাইকার মেহেদী তারেমি ডি-বক্সের ভেতর ঢুকে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। এ সময় ডিফেন্ডার ক্যামেরন কার্টার-ভিকার্স তাকে বাধা দেন। ইরানের খেলোয়াড়রা পেনাল্টি দাবি করলেও রেফারি সাড়া দেননি।
কুইরোজ বলছেন, ‘আমি এখনও এ ঘটনার রিপ্লে দেখিনি। তবে এখন এটা নিয়ে কথা বলা বোকামি। যুক্তরাষ্ট্র শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে। এটার কোনো পরিবর্তন হবে না। জীবন চলতে থাকবে এবং সামনে আরও কিছু ম্যাচ আছে।’