
বিজয়ের মুকুট অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন- এই সত্যটি গত কয়েক আসরে ধারাবাহিকভাবে দেখে আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এবার ইতিহাস বদলাতে পারবে ফ্রান্স?
তার আগে জেনে নেয়া যাক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে এসে গ্রুপপর্বেই বাদ পড়া দলগুলোর কাহিনী।
ইতালি (২০১০ বিশ্বকাপ): ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারানো ইতালি পরের আসরেও ছিল হটফেভারিট। গ্রুপসঙ্গী হিসেবে স্লোভাকিয়া, নিউজিল্যান্ড ও প্যারাগুয়ের মতো সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছিল। কিন্তু আজ্জুরিরা জিততে পারেনি কোনো ম্যাচেই। দুই ড্রয়ের পাশাপাশি হেরেছিল একটিতে। তাতে নকআউট পর্বের আগেই বাদ পড়ে যায়।
স্পেন (২০১৪ বিশ্বকাপ): বিশ্ব ফুটবলে তখন স্প্যানিশদের টিকিটাকার জয়জয়কার, ২০১০ আসরের বিশ্বজয়ী। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ব্রাজিলে হওয়া পরের আসরে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। শেষ ম্যাচে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় জুটেছিল। তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি!

জার্মানি (২০১৮ বিশ্বকাপ): টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের জন্য রাশিয়ায় গিয়েছিল ২০১৪ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনার স্বপ্নভাঙা জার্মানি। তবে পরের আসরে মেক্সিকো ও সাউথ কোরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপপর্বই বিদায় নেয় রাশিয়া থেকে। গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ হারার বিব্রতকর রেকর্ডও এবার সঙ্গী হয় জায়ান্ট জার্মানির।
টানা তিন আসরে এমন কাণ্ডের আগেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের আসরে এসে গ্রুপপর্বে বাদ পড়ার নজির আছে। ১৯৫০ সালে ইতালি, ১৯৬৬ সালে ব্রাজিল ও ২০০২ সালে ফ্রান্সের রয়েছে এমন বিব্রতকর অভিজ্ঞতা। এবার কি ইতিহাস বদলাতে পারবে ২০১৮তে রাশিয়া জয় করা ফ্রান্স?