অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সবার আগে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তোলার নায়ক কাইলিয়ান এমবাপে। দলকে জিতিয়েই ক্ষান্ত হননি, গড়েছেন রেকর্ড। তারকা থেকে মহাতারকা হওয়ার পথে তিনি যেন দুরন্ত গতিতে ছুটছেন।
অনূর্ধ্ব–১৯ দলের হয়ে খেলার সময় ১১ ম্যাচেই করেছিলেন ৭ গোল। দিদিয়ের দেশম দ্রুতই তার পারফরম্যান্স দেখে ২০১৭ সালে জাতীয় দলে ডেকে নেন। পরের বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে সবাই দেখে ১৯ বর্ষী ফুটবলারের ঝলক। ওই আসরে করেছিলেন ৪ গোল।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে আসা ২৩ বর্ষী স্ট্রাইকার এবারের আসরে করেছেন ৩ গোল। ইকুয়েডরের এনার ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে এবারের টুর্নামেন্টে এখন অব্দি তিনি সর্বাধিক গোলদাতা।
সব মিলিয়ে বিশ্বমঞ্চে তার গোল সংখ্যা ৭। ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড। ২৪ বছরের কম বয়সে কিংবদন্তি পেলের পর বিশ্বকাপে এই ফ্রেঞ্চম্যানই সাতবার লক্ষ্যভেদ করেছেন। থিয়েরি অঁরির করা ৬ গোলকে ছাড়িয়ে তিনি এখন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্ব আসরে সর্বাধিক গোলদাতা।
ফ্রান্সের চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে এমবাপে একাধিক বিশ্বকাপে গোল করেছেন।জাতীয় দলের হয়ে ৩১তম গোলের দেখা পেয়ে সাবেক ফ্রেঞ্চ ফুটবলার জিনেদিন জিদানকেও স্পর্শ করেছেন।
পাঁচ বিশ্বকাপ খেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি এখন পর্যন্ত করেছেন ৮ গোল। দুই মহাতারকাকে ছাড়াতে তাদের কাঁধের উপর পিএসজির স্ট্রাইকার নিঃশ্বাস ফেলছেন। এতো অল্প বয়সেই যার এতো গোলের ক্ষুধা, তার পক্ষে রেকর্ড ভেঙে চুরমার করাকে খুবই সম্ভব মনে হচ্ছে।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোলদাতা মিলোস্লাভ ক্লোসা, নিশানাভেদ করেছিলেন ১৬ বার। হয়তো একসময় সেই জায়গাটাও নিজের দখলে এমবাপে নিয়ে ফেলবেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটাও হয়তো অক্ষত থাকবে না। কোথায় যেয়ে থামবেন এমবাপে, তা নিয়ে চলতে পারে জম্পেশ আলোচনা ও বিশ্লেষণ।