চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স: ইতিহাস-পরিসংখ্যান কী বলছে?

বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের অদ্ভুত এক ইতিহাস রয়েছে। তিনবারের মুখোমুখি দেখায় যে দল জিতেছিল, তারাই খেলেছিল ফাইনাল। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কাতারে দল দুটি মুখোমুখি হবে ফাইনালেই। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লুসেইল স্টেডিয়ামে মহারণ।

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্ব আসরের গ্রুপপর্বে আকাশী-নীলরা ১-০ গোলের জয় তুলেছিল। ফাইনালে গেলেও তাদের উরুগুয়ের কাছে হার মানতে হয়। ১৯৭৮ সালেও গ্রুপপর্বে একে অন্যের বিপক্ষে লড়েছিল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। ঘরের মাঠে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা, ২-১ গোলে জিতে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের জয় তুলেছিল ফ্রান্স। কাইলিয়ান এমবাপে করেছিলেন জোড়া গোল। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে ফিরেছিল দিদিয়ের দেশমের দল।

এবার দেখা হচ্ছে ফাইনালে। দুদলকে নিয়ে আগ্রহও তুমুল। ইতিহাস-পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে শক্তিমত্তার।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিনে আর্জেন্টিনা। পরের স্থানেই ফ্রান্স। দুদলের তফাৎটা এটুকুই। পরিসংখ্যান বলছে, দুদল ১২ বার মুখোমুখি লড়েছে। আলবিসেলেস্তেরা জিতেছে ৬ বার, ফ্রেঞ্চরা ৩ বার। বাকি তিন ম্যাচ ছিল ড্র।

আসরে ‘সি’ গ্রুপে ছিল লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা। গ্রুপপর্বে সৌদি আরবের কাছে হোঁচট খাওয়ার পর অপরাজিত আছে তারা। মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়া এবং আটে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারায়। শিরোপার মঞ্চে যাওয়ার পথে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তোলে শেষ চারে।

‘ডি’ গ্রুপে ছিল চোটজর্জর ফ্রান্স। গ্রুপপর্বে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বের টিকিট কাটে। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশ সাজিয়েছিলেন দেশম। ১-০ গোলে হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকায়নি। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ড এবং আটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেন এমবাপে-জিরুদরা। শিরোপার মঞ্চে যাওয়ার পথে চারে অ্যাটলাস পর্বতের সিংহ মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় আসে।

আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স, দুদলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার করে। এবারের ফাইনালে হেসে তৃতীয়বারের মতো কারা ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে, সেই পথে অপেক্ষা জম্পেশ এক লড়াইয়ের।