ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপ ট্রফির ফাঁকা জায়গা পূরণ করে বীরের বেশে দেশে ফিরেছে লিওনেল মেসি এন্ড কোম্পানি। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে স্নায়ুচাপী ফাইনাল জিতে আজ দেশে পৌঁছায় আলবিসেলেস্তেরা। ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাদের, সেখানেই অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান মেসিসহ পাঁচ বিশ্বকাপজয়ী।
ট্রফি জয়ের ২৪ ঘণ্টার মাঝেই দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আলবিসেলেস্তে দল। বুয়েন্স আয়ারসের এজাজ বিমানবন্দরে সকালে খানিকটা বিলম্ব করে নামেন মেসি-ডি মারিয়ারা। এরপর জনসমুদ্রে রূপ নেওয়া রাস্তায় ছাদখোলা বাসে চড়ে ওবেলিক্স ল্যান্ডমার্কের দিকে এগোয়, সেখানেই দুর্ঘটনাটা সামনে আসে।
ছাদখেলা বাসের এক পাশে বসে জনতার অভিবাদনের জবাব দিচ্ছিলেন চ্যাম্পিয়নরা। মেসির বামপাশে পারদেস ও রদ্রিগো এবং ডান পাশে ডি মারিয়া ও ওতামেন্ডি বসা ছিলেন। রাস্তায় হুট করে তাদের সামনে ঝুলন্ত একটি তার এসে পড়ে। দ্রুতই মাথা নিচু করে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচেন চারজন। কিন্তু পারদেস বসতে দেরি করায় তার মাথার টুপি নিয়ে চলে যায় তারটি, খানিকটা ব্যথাও পেয়েছেন।
ইএসপিএন আর্জেন্টিনা তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে মেসিদের ছাদখোলা বাসে অভিবাদনের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইউরোপ-আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম মেসিদের দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে খুব উদ্বেগজনক কিছু ঘটেনি। পারদেস কতটা আঘাত পেয়েছেন তাও জানা যায়নি।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ আজকের দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। চ্যাম্পিয়নরা দেশে ফেরার আগ থেকেই তাই আর্জেন্টিনায় উৎসব রব পড়ে গেছে। ড্রাম বাজিয়ে, গান করে কেউ কেউ উদযাপন করছেন। অনেকে মেসিদের জার্সি বিতরণ করে সামিল হচ্ছে শিরোপা জয়ের আনন্দে। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে পতাকা উড়িয়ে। পুরো শহর যেন সেজেছে আকাশী নীল রঙে।
রোববার লুসেইল স্টেডিয়ামে শিরোপার মঞ্চ উত্তেজনার পারদ চড়েছিল তুঙ্গে। খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর ৮৭ সেকেন্ডের মাঝে এমবাপে গোল করে থমকে দেন। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। মেসি ফের লিড আনলে শেষ সময়ে পেনাল্টি থেকে আবারও সমতায় আনে ফ্রান্স। মেসির জোড়া গোল ও এমবাপের হ্যাটট্রিকে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ৪-২ শট ব্যবধানে মার্টিনেজ নৈপূণ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।