অনেক সুযোগ তৈরি করেও গোল আনতে পারল না জাপান। প্রতিপক্ষের জালের দেখা না পেলেও অন্তত অক্ষত রাখছিল নিজেদের জালটা। কিন্তু ৮১ মিনিটে এসে খেলার ধারার বিপরীতে বাজিমাত কোস্টারিকার। জাপানিজদের বিদ্ধ করেছে ‘ফুলের’ কাটায়। কেইশের ফুলের, ডিফেন্ডার ‘ফুলের’র একমাত্র গোলেই তারা তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। বাঁচিয়ে রেখেছে নকআউটের লাইফলাইন।
অন্যদিকে গোলশূন্য ড্র হলেও ফলটা পক্ষে বলা যেত জাপানেরই। জার্মানিকে পরাস্ত করে আসর শুরু করা এশিয়ার জায়ান্টরা হেরে এখন নিজেদের নকআউট পর্বে যাওয়ার রাস্তা জটিল করে তুলল।
২ ম্যাচে এক জয় ও এক হারে ই-গ্রুপে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে জাপান। সমান খেলায় ৩ পয়েন্ট তুলে তিনে কোস্টারিকা। এক ম্যাচ খেলে জেতা স্পেনের পয়েন্টও ৩, গোল ব্যবধানে অনেক এগিয়ে তারা টেবিল টপার। জার্মানি প্রথম ম্যাচে হেরে এখনও কোনো পয়েন্ট না জমিয়ে তলানিতে।
রাতে ই-গ্রুপের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্পেন-জার্মানি। তৃতীয় তথা শেষ রাউন্ডে ১ ডিসেম্বর কোস্টারিকা লড়বে জার্মানির বিপক্ষে, আর জাপানের পরীক্ষা নেবে স্পেন।
রোববার আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে আয়াসে উদার পাসে বল পেয়ে শট নেন রিতসু দোয়ান। বাঁ-পায়ে নেয়া তার শট পোস্টের বাঁ-পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধে দুদলের কেউই গড়তে পারেনি উল্লেখযোগ্য আক্রমণ। সুন্দর ফুটবল ছিল অনুপস্থিত। বিরতির আগে স্কোরলাইন গোলশূন্য থাকে।
ফিরে ৪৮ মিনিটে তাকুমা আসানোর হেড প্রতিহত করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে আসে গোলের দেখা। ভুল পাসের খেসারত দেয় জাপান। বক্সের কাছে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান জাপানিজদের রক্ষণ তারকা। ঘটে সর্বনাশ। সলেৎসিন তেজেদার পাসে বল পেয়ে বাঁ-পায়ের শটে নিশানাভেদ করেন ডিফেন্ডার কেইশের ফুলের।
নির্ধারিত সময় শেষের দুই মিনিট আগে দাইচি কামাদার শট নাভাস ঠেকিয়ে দিলে জাপানের সমতা টানা হয়নি।