ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিনে আছে আর্জেন্টিনা। ২৬তম স্থানে পোল্যান্ড। দুদলের ব্যবধানটা এখানে পরিষ্কার! মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বকাপের ইতিহাস অবশ্য বলছে, দুদলের জয়-পরাজয়ের সংখ্যা সমানে-সমান। আগের দুই দেখায় একবার করে জিতেছে আর্জেন্টিনা ও পোলিশরা।
১৯৬৬ সালে দল দুটি প্রথমবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। সেই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। মোট ১১ বারের দেখায় আকাশী-নীলরা জিতেছে ৬ বার, পোল্যান্ড ৩ বার। বাকি দুই ম্যাচ হয়েছিল ড্র।
বিশ্বকাপে প্রথমবার ১৯৭৪ সালে গ্রুপপর্বের খেলায় পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে ৩-২ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। চার বছর পর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে অবশ্য ২-০ গোলে জিতে নিয়েছিল প্রতিশোধ।
এবারের হটফেভারিট আর্জেন্টিনার মিশনে শুরুটা ভালোভাবে হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৫১তে থাকা সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গ্রুপপর্বেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে মেসিদের মিলেছে খানিক স্বস্তি।
অন্যদিকে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির পেনাল্টি মিসে মেক্সিকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে আসর শুরু করে পোল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌদি আরবকে ২-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সি-গ্রুপের খেলায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড।
এই ম্যাচে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে পা দেবে লিওনেল স্কালোনির দল। হারলে নিতে হবে বিদায়। ড্র হলে নকআউট পর্বে যেতে হলে তাদের সৌদি আরব ও মেক্সিকো ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, মেলাতে হবে অনেক হিসেব-নিকেশ।
অন্যদিকে, পোল্যান্ড জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটের টিকিট কাটবে। ড্র করলেও চলে যাবে পরের রাউন্ডে। আর হারলে তাদেরও সৌদি আরব ও মেক্সিকো ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর হওয়ার বিকল্প থাকবে না।