স্নায়ুচাপী ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি জয়ের ২৪ ঘণ্টার মাঝেই দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আলবিসেলেস্তে দল। বুয়েন্স আয়ারসের এজাজ বিমানবন্দর, রাস্তা হয়ে পুরো শহরে লাখো মানুষ অপেক্ষায় ছিল চ্যাম্পিয়ন মেসিদের অপেক্ষায়।
কাতারের দোহা থেকে ইতালির রোম হয়ে দেশে ফিরেছেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। দুটি বিমানে দুই বহরে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছিল কোচিং স্টাফ এবং তাদের পরিবার। বিমানবন্দর থেকে লাখো মানুষের জনসমুদ্র ঠেলে ওবেলিক্স ল্যান্ডমার্কে শিরোপা উঁচিয়ে ধরবেন মেসিরা। এরপর যাবেন দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভবনে।
বিমানবন্দর তো বটেই বুয়েন্স আয়ারসের পুরো রাস্তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অনেকটা যেন আকাশী-নীল রঙ ধারণ করেছে বুয়েন্স আয়ারসের রাস্তা। মানুষের ঢল রাস্তা থেকে অ্যাসোসিয়েশন ভবন পর্যন্ত পৌঁছেছে। ছাদখোলা বাসে কখনও লিওনেল মেসি কখনও এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অথবা কোচ লিওনেল স্কালোনি শিরোপা উঁচিয়ে সমর্থকদের দেখাচ্ছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ আজকের দিনটাকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। চ্যাম্পিয়নরা দেশে ফেরার আগ থেকেই তাই আর্জেন্টিনায় উৎসব রব পড়ে গেছে। ড্রাম বাজিয়ে, গান করে কেউ কেউ উদযাপন করছেন। অনেকে মেসিদের জার্সি বিতরণ করে সামিল হচ্ছে শিরোপা জয়ের আনন্দে। কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে পতাকা উড়িয়ে, পুরো শহর যেন সেজেছে আকাশী নীল রঙে।
রোববার লুসেইল স্টেডিয়ামে শিরোপার মঞ্চ উত্তেজনার পারদ চড়েছিল তুঙ্গে। খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর ৮৭ সেকেন্ডের মাঝে এমবাপে গোল করে থমকে দেন। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। মেসি ফের লিড আনলে শেষ সময়ে পেনাল্টি থেকে আবারও সমতায় আনে ফ্রান্স। মেসির জোড়া গোল ও এমবাপের হ্যাটট্রিকে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ৪-২ শট ব্যবধানে মার্টিনেজ নৈপূণ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।