ম্যাচ শেষে অফিসিয়াল স্কোরবোর্ড বলছে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের ফল আর্জেন্টিনা ৫-০ এস্তোনিয়া। তবে ফলাফলটা এভাবেও লেখা যেতে পারে মেসি ৫-০ এস্তোনিয়া! চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো হলেও এটাই সত্য যে ফুটবলের র্যাঙ্কিংয়ের ১১০ এ থাকা উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার জালে পাঁচবারই বল জড়িয়েছেন লিওনেল মেসি।
রোববার এল সাদার স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে মেসি শুধু গোল উৎসবে মাতেন। হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চারে উঠে এসেছেন এলএম টেন।
১৬২ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মেসির গোলসংখ্যা এখন ৮৬। সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার পাঁচে থাকা ৮৫ ম্যাচে পুসকাস করেছেন ৮৪ গোল। সবার উপরে অবস্থান করছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ১৮৮ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ১১৭ গোল। ইরানের আলী দাইয়ি (১০৯) দ্বিতীয় এবং মালয়েশিয়ার মোখতার দাহারি (৮৯) তৃতীয় স্থানে আছেন।
এদিন আর্জেন্টিনার টানা ৩৩ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অপরাজিত থাকার পাশাপাশি ৮১ বছরের পুরনো এক রেকর্ড স্পর্শ করেছেন মেসি। ১৯৪১ সালে হুয়ান মারভেজ্জি আকাশি-নীল জার্সিতে করেছিলেন ৫ গোল। তার আগে ১৯২৫ সালে ম্যানুয়েল সিওনে আর্জেন্টিনার হয়ে ৫ গোল করেছিলেন। মেসি এবার সেই কীর্তি গড়লেন।
জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার হলেও মেসি এর আগে ক্লাব ফুটবলে ৫ গোল করেছিলেন। ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ের লেভারকুসেন তার পাঁচবার লক্ষ্যভেদের শিকার হয়। ম্যাচটি বার্সেলোনা ৭-১ গোলে জিতেছিল।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে মেসি প্রথম গোলটি করেন। ৪৫ মিনিটে পাপু গোমেগের পাসে বল পেয়ে তিনি দ্বিতীয় গোলের দেখা পান।
বিরতির পরপরই পেয়ে যান হ্যাটট্রিক। ৪৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন মহাতারকা জাতীয় দলের হয়ে অষ্টমবার এই নজির স্থাপন করেন। ৭১ মিনিটে ডান পায়ের শটে গোল করে পুসকাসকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চারে উঠে যান। পাঁচ মিনিট পর পঞ্চম গোলের দেখাও পেয়ে যান।