যেনো নিজেদের চিরচেনা ছন্দ হারিয়েছিল পিএসজি। হেরেছিল সবশেষ তিন ম্যাচেই। লিলের বিপক্ষে ম্যাচেও হারতে বসেছিল ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের দল। এমবাপের জোড়া গোল ও শেষ মুহূর্তে ফ্রি-কিক থেকে মেসির নৈপুণ্যে জয়ে ফিরলো ফরাসি জায়ান্টরা।
ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে লিলকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। এমবাপের জোড়া গোলের পাশাপাশি পিএসজির জার্সিতে গোল পেয়েছেন মেসি ও নেইমার। লিলের হয়ে গোল করেছেন বাফোড দিয়াকিটে, জোনাথন ডেভিড ও জোনাথন বাম্বা।
লিলকে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২৪ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সবার উপরে পিএসজি। ২৩ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে অলিম্পিক মার্শেই। ২৪ ম্যাচে ১২ জয় ৫ ড্রয়ে টেবিলের পাঁচে লিল।
রোববার রাউন্ড-২৪ এর লড়াইয়ে শুরতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ১১ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বলকে জালে পাঠান কাইলিয়ান এমবাপে। ১৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ফরাসি জায়ান্টরা। ভিতিনহার এসিস্টে গোল করেন নেইমার।
পিছিয়ে পড়া লিল ব্যবধান কমাতে সময় নেয়নি খুব একটা। ২৪ মিনিটে গোল শোধ করেন বাফোড দিয়াকিটে। জমজমাট লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে লিল। ৫৬ মিনিটে ফাউল করে লিলকে পেনাল্টি উপহার দেন ভেরাত্তি। গোল করে দলকে সমতায় ফেরান জোনাথন ডেভিড। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যায় লিল। পিএসজি রক্ষণকে পরাস্ত করেন জোনাথন বাম্বা।
৩-২ ব্যবধানে লিল এগিয়ে গেলে মরিয়া হয়ে উঠে মেসি-নেইমাররা। খেলা জমে উঠে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে। পিএসজির অনাবরত আক্রমণ শেষ পর্যন্ত রুখতে পারেনি লিল। ৮৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপে।
এরপর জয়ের নেশায় ছুটছিলেন মেসি-নেইমার-এমবাপেরা। অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটে মেসি বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিল গোলবারের লক্ষ্যে। ডি-বক্সের বাইরে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে বাধা দেন বেঞ্জামিন এন্ড্রে। ফ্রি-কিক পায় ফরাসি জায়ান্টরা। ফ্রি-কিকে লিল রক্ষণকে পরাস্ত করে জালে বল পাঠান মেসি। এতে ৪-৩ গোল ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির।