পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের আটক হয়েছে ২ জন। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, অন্য প্রার্থীর প্রবেশপত্র, বিভিন্ন কাগজপত্র ও নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ মার্চ) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আহমেদ নাসির উদ্দীন মোহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি আহমেদ নাসির জানান, নিয়োগ পরীক্ষা যেন প্রশ্নবৃদ্ধ এবং কোন পরীক্ষার্থী জালিয়াতির আশ্রয় নিতে না পারে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনা ছিল। সোমবার কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) লিখিত পরীক্ষায় হারুন অর রশীদের (রোল নং ৭১১০১৩০) ছবি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলা। প্রবেশপত্রসহ সকাল ১০টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার সময় হাতেনাতে আটক হয়।
আটক তানজিম উদ্দিনকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করলে সে প্রতারক চক্রের আরেক সদস্যের বিষয়ে তথ্য দেন। তার তথ্যমতে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল আল হেরার ৩২৫ নং কক্ষ থেকে একরাম হোসেন নামে আরেকজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কুতুবদিয়া লেমশীখালী হাবীব হাজির পাড়ার আবু তাহেরর ছেলে তানজিম উদ্দিন তাহের বাবলা (২০), একই উপজেলার ছিদ্দিক হাজির পাড়ার ছাবের আহমেদর ছেলে একরাম হোসেন (২৪)৷
ডিবির ওসি আরও জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য একরাম হোসেন এর সহোদর বড় ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম, প্রক্সি পরীক্ষার্থী মিরাজ, পলাতক পরীক্ষার্থী হারুন অর রশীদসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যগণ পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম তার সহোদর ভাই একরাম হোসেনদের একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় ফটোশপের মাধ্যমে প্রার্থীদের ছবি ও স্বাক্ষর এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসছে।
কিছু বিপথগামী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রলোভনের মাধ্যমে প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে ব্যবহার করে আর্থিক ফায়দা নিচ্ছে বলে জানা গেছে৷ প্রতারক চক্রের প্রধান আসামি সায়েমসহ অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে আটকের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। আটককৃত ও পলাতক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ডিবির ওসি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে পুলিশের টিআরসি নিয়োগ পরীক্ষায় ২ হাজার আটশত ৩২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন৷ প্রাথমিক ও শারীরিক বাছাইয়ের পর ৬৭৩ জন লিখিত পরীক্ষা দেন।