চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দেখেন কী হয়, ওয়েট অ্যান্ড সি: প্রথম আলো সম্পাদকের বিষয়ে আইজিপি

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের অবস্থান বিষয়ে আইজিপি বলেছেন, ‘দেখেন কী হয়। ওয়েট অ্যান্ড সি’। আইনমন্ত্রীর সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশের নিজস্ব বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছি।

এসময় ডিএমপি কমিশনারও সেখানে  উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তবে মতিউর রহমানের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেনি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে সরকার সজাগ। তবে প্রথম আলোর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ওই আইনে মামলা করা হয়েছে কারণ তারা অন্যায় করেছে। সাংবাদিকতার কারণে নয়, মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর মামলার শুনানিতেও এদেশের ৭টি বেঞ্চ বিব্রত হয়েছিল, অপারগতা জানিয়েছিল। কাজেই প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন আবেদন শুনতে না চাওয়া নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।

গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ডে একজন দিনমজুরের বক্তব্য উদ্বৃত করা হয়। কিন্তু সে উদ্ধৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় একটি শিশুর ছবি। তবে দিনমজুরের উদ্ধৃতির সঙ্গে শিশুর ছবি প্রকাশের অসংগতির বিষয়টি তুলে ধরে ১৭ মিনিটের মধ্যেই ফটোকার্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করে সংশোধনী দেয় প্রথম আলো।

এমন প্রেক্ষাপটে গত বুধবার ভোর রাতে সিআইডি পরিচয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। অন্যদিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।

আর বুধবার মধ্যরাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মালেকের করা রমনা থানার ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক ছাড়াও পত্রিকাটির সাভারে নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরা পারসন এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সাথে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।