ফেনীতে চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক আবুল খায়ের মিন্টু।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের দলিয়া গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের মিন্টু তার ১২ শতক জমিতে দেশের প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে অত্যাধুনিক মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে টমেটো চাষ করেছেন। যার কারণে আগাছার পরিমাণ খুবই কম হয় ও সারের পরিমাণ কম লাগে এবং ফলন খুব ভালো হয়।
এতে উৎপাদিত টমেটো বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। নতুন প্রযুক্তিতে টমেটো আবাদ ও লাভজনক দেখে তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন।
আবুল খায়ের মিন্টু বলেন, আমি আসলে চ্যানেল আইয়ের হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান দেখে এটাতে উদ্বুদ্ধ হই এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করে মালচিং পদ্ধতি তিন বছর আগে আমি সিলেটের মাধবপুরে গিয়ে হবিগঞ্জ থেকে অনলাইনে এনে এ প্যাটনের মাচা দিয়ে টমেটো চাষ শুরু করেছি। আমি আশানুরূপ ফলন পেয়েছি। সবেমাত্র আমার বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন আমার যে ফলন আছে এবং বাজার যদি ভালো হয়, আশা করি আমার লক্ষাধিক টাকা বিক্রি হবে। কৃষি কাজ করে আমি যথেষ্ট লাভবান। আমাদের এখানে উচ্চমূল্যের লেবার দিয়ে কাজ করিয়েও আমি লাভবান।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দেবনাথ বলেন, উদয়ন প্লাস টমেটো খুবই উচ্চমূল্যের একটা বড় জাতের টমেটো। এটা আপনার বপনের পর থেকে ৭০ দিনের ভিতরে মোটামুটি শেষ হয়ে যায়। প্রায় ৪৫-৫০ দিন থেকে আমরা ফলন উত্তোলন শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে আমরা সর্বদা চেষ্টা করি ফসলের যে রোগ, পোকামাকড় ইত্যাদিসহ সবধরনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেয়ার জন্য। এখানে উন্নত প্রযুক্তি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে আগাছার পরিমাণ খুবই কম হয় ও সারের পরিমাণ কম লাগে এবং ফলন খুব ভালো হয়। এতে কৃষকের আগাছা পরিষ্কার করতে যে খরচ হয় সেটা করতে হয় না।
এছাড়া ওই গ্রামের ম্যাক্সিমাম কৃষকই সবজি আমাদের সাথে জড়িত। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সবসময় উনাদেরকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি।