রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভাগীয় মহাসমাবেশের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে সমাবেশ। বুধবার ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রংপুরের সমাবেশে আট বিভাগ থেকে আগত নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশকে ঘিরে সারা রংপুরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। তাদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে মুখরিত হচ্ছে সমাবেশ কেন্দ্র।
রংপুরে জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ শুরুর আগেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠ উপচে পড়ে। মাঠের ভেতরের পাশাপাশি হাজার হাজার নেতাকর্মী রংপুর নগরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। রংপুর মহানগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশ রুট গুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে চায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। জিলা স্কুল মাঠে এসএসএফসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ। পাশেই মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্নার। সামনে থাকবে জনতা। প্রস্তুতির কাজ তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। সেদিন তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার আজ রংপুরে এসেছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।