
আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ব্যাপক আকারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন: বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৪ টাকা থেকে ৫ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা থেকে ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাম তেল প্রতি লিটার ১২৮ টাকা থেকে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই এ দাম কার্যকর করা হবে।
দাম নির্ধারণের পাশাপাশি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও এসময় জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বলেন, ‘প্রথমে অল্প পরিমাণে আমদানি করা হবে। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। ভোক্তা অধিকার মাঠে থেকে বাজার মনিটরিং করবেন।
বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমছে। এছাড়া পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে: সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে কমবে ৫ টাকা। আর লিটারে ৪ টাকা কমবে পাম তেলের দাম। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা। আর কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর দাম ২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হবে ১২ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায়।
এর আগে, সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠে সেপ্টেম্বর মাসের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি বন্ধ না করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন।
বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ন্যায্য দামে মানুষের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে হবে৷ এক্ষেত্রে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’