পর্তুগালে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। কিন্তু পর্তুগালে না পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে পাচার করে দেয়।
র্যাব জানায়, দুবাইয়ে পাচার করার পর সেখানে রুমে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে চক্রটি। টাকা পেলে দুবাইয়ের কোনো একটি স্থানে রেখে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে মানবপাচার করে আসছিল।
এমন এক চক্রের মূলহোতা মো. জসিম উদ্দিনকে (৩৮) রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জনশক্তি রপ্তানির কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও চক্রটি ভুক্তভোগীদের পর্তুগাল উচ্চ বেতনে চাকরি, বছরে দুটি বোনাস, থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ বিভিন্ন লোভনীয় কথাবার্তা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, তারা পর্তুগাল পাঠানোর জন্য ভুক্তভোগীকে ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই পাঠিয়ে দেয়। সেখানে একটি রুমে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে ও কোনো খাবার দেয় না। পরে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে এবং টাকা পেলে ভুক্তভোগীকে দুবাইয়ের কোনো একটি স্থানে রেখে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। আটক জসিম উদ্দিন সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সক্রিয় মূলহোতা।
আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।