সাদিয়া আফরিন অমিন্তা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের মাঝখানে ‘বৈশাখী মঞ্চ’ তৈরির লক্ষ্যে কেটে ফেলা তিনটি কড়াই গাছের পাশে নতুন করে কড়াই ও অর্জুনসহ ৪টি গাছের চারা রোপণ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদের নেতা-কর্মীরা।
একই সঙ্গে গাছের গায়ে ‘গাছ কাটা নিষেধ’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে দিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সহসভাপতি সাদিয়া মাহমুদ মিম, সহসম্পাদক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম সুইট প্রমুখ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দুই যুগের পুরনো তিনটি গাছ কেটে মঞ্চ নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুদিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কাটা গাছের ছবি পোস্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও সিনিয়র অধ্যাপকসহ অনেকে। আবার মুক্ত সাংস্কৃতি চর্চায় মুক্ত মঞ্চের গুরুত্বারোপও করেছেন কেউ কেউ। তবে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, কেটে ফেলা তিনটি গাছের মধ্যে দুইটি ছিল অর্ধমৃত। তাছাড়া এ তিনটি গাছের বিপরীতে পাঁচশ গাছ রোপণ করা হবে বলে ও আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, কড়াই ও অর্জুনসহ ৪টা বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছি। কর্তৃপক্ষ যদি এ গাছগুলো সরিয়ে ফেলে তাহলে পরবর্তীতে কর্মসূচি হাতে নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে যেকোনো জায়গায় যেকোনো স্থাপত্য কর্তৃপক্ষ করতে পারে। কারো যদি কোনো কথা থাকে তাহলে তারা পরামর্শ দিতে পারে বা দাবি জানাতে পারে। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা এভাবে বাঁধা দিতে পারে না।