ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির সভাপতি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির আদালত। আবেদন খারিজ হওয়ায় কেজরিওয়ালকে এখন তিহার জেলেই বন্দী থাকতে হবে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে এই রায় দিয়েছে আদালত। রায়ের পর আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হবে। গত ২১ মার্চ আবগারি (মদ) নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেজরিওয়ালকে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে আবেদন করেন তিনি।
বিচারপতি স্বর্ণ কান্তা শর্মা তার রায়ে বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা কোন অধিকার নেই। তার সঠিক পথ মেনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবগারি নীতি মামলায় ঘুষের অনেক তথ্য-প্রমাণ ইডি আদালতে পেশ করেছে। ইডির কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে যা প্রমাণ করে, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে আবগারি দুর্নীতি মামলার টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া দিনের পর দিন তিনি যেভাবে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন, তাতে তাকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন ছিল বলেও জানান তিনি।
আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার বৈধ পথ অনুসরণ করেই করা হয়েছে। এই দুর্নীতি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেও মানতে নারাজ দিল্লির আদালত। আদালতের বক্তব্য, এই মামলাটি কেন্দ্র সরকার এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে নয় বরং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মধ্যে। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং সমীকরণ আদালতে টেনে আনা যাবে না। আইনের কাছে এসব অপ্রাসঙ্গিক। বিচারপতিরা আইনের কাছে দায়বদ্ধ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কাছে নয়।
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের এই অভিযোগ আনা হয় দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি ঘিরে। অভিযোগ ওঠে, ওই নীতিতে বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য ওই নীতি বাতিল করা হয়। তদন্ত সংস্থা ইডির অভিযোগ, এই নীতি প্রণয়ন করে আম আদমি পার্টির নেতারা ১০০ কোটি রুপি নিয়েছিলেন।