ঘুর্ণিঝড় মোখার কারণে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী। গ্যাসের অভাবে রান্না করতে না পেরে বহু পরিবার অনাহারে আছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
গত শনিবার (১৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে লাখ লাখ বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না। খাবার হোটেলে খাবার না পেয়ে অনেকেরই অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষের মোট গ্রাহক আছে ৬ লাখ ২ হাজার মতো। তম্মধ্যে বাসাবাড়ির সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়, ফলে চট্টগ্রামে এসব বাসাবাড়িতে রান্নার চুলায় গ্যাস নেই। বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের সামনে খাবার কিনতে লোকজনের দীর্ঘলাইন। সে সাথে বিভিন্ন সিএনজি পাম্পগুলোতেও গ্যাস নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
গ্যাস সংকটে গ্রাহকরা বলছেন, গত দুইদিন থেকে তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস নাই। রান্না না করতে পারায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটছে। একই অবস্থা চট্টগ্রামের সিএনজি গ্যাস স্টেশনগুলোতেও।
ঘুর্ণিঝড় মোখার বিষয়টি উল্লেখ করে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট থাকবে। তবে এমডির এই বক্তব্যে চট্টগ্রামবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামে গ্যাস সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগের কথা জানান।
গ্যাস সরবরাহ না থাকায় গ্যাস সিলিন্ডার এবং ইলেকট্রিক চুলা ও রাইস কুকার কেনার ধুম পড়েছে। সেই সাথে এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে ১১শ টাকার পরিবর্তে গ্যাস সংকটের সুযোগে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বহু অসাধু ব্যবসায়ী।