নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট দেখতে হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। বেলুচিস্তানের হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হচ্ছে না।
পিসিবির গভর্নিং বোর্ড নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে, যা ২০১৪ সালে সংবিধান লঙ্ঘন করে গঠিত হয়েছিল বলে আদালতে একটি মামলার শুনানিতে দাবি করা হয়। আদালত পিসিবির যুক্তিতর্ক শোনেননি এবং পরবর্তী অধিবেশনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সব অংশীজনদের নোটিশ জারি করেছেন।
জাকা আশরাফ পিসিবির চেয়ারম্যান হতে পারেন, এমন সম্ভাবনার পর নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ২৪ ঘণ্টা আগে পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। লাহোর হাইকোর্ট কমপক্ষে তিনটি পিটিশনের কথা স্বীকার করেছেন। সেগুলোকে এক শুনানিতে একত্রিত করে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
পিসিবির বোর্ড দশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত- চারটি আঞ্চলিক প্রতিনিধি, চারটি পরিষেবার প্রতিনিধি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্য। এই সদস্যরা পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্ধারণের জন্য ভোট পরিচালনা করবে। ঐতিহাসিকভাবে পিসিবি বোর্ড অব গভর্নরসে প্রধানমন্ত্রী তিন বছর মেয়াদের জন্য নিয়োগ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নাজাম শেঠি ছিলেন পিসিবি’র প্রধান, কিন্তু তার নিয়োগ ছিল অস্থায়ী। ২০১৪ সালের সংবিধান ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে। তিনি একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে কাজ করছিলেন এবং তারাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আদালতে গিয়েছিল। তারা দাবি করেছে, পিসিবি বোর্ডকে ভুলভাবে স্থাপন করেছে, এবং শেঠি যাদের মনোনীত করেছিলেন, তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে।
শেঠির তালিকায় লাহোর, করাচি, পেশোয়ার এবং রাওয়ালপিন্ডি অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু তাদের নাম আবর্তনের বাইরে ছিল। পিসিবি নির্বাচন কমিশনার এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ শেহজাদ ফারুক রানা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং লারকানা, ডেরা মুরাদ জামালি, বাহাওয়ালপুর এবং হায়দরাবাদের প্রতিনিধিদের তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন। এই মতপার্থক্যের কারণে বিষয়টি আদালতে তোলা হয়েছে।
এ কার্যক্রমগুলো ২০১৩ এবং ২০১৪-এর ফল, যখন শেঠি আশরাফের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। এই জুটি পিসিবি চেয়ারম্যান পদের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন, কয়েকবার অবস্থানও পরিবর্তন করেন। আশরাফ আদালতে জেতেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হলে নিয়ন্ত্রণ নেন শেঠি।