আমদানিতে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ মুক্তির কথা শোনা গিয়েছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানা গেল ফেব্রুয়ারিতে এ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। এ মাসে সংশ্লিষ্ট কেউ চাচ্ছেন না হিন্দি ভাষার ‘পাঠান’ মুক্তি পাক। মূলত ভাষার মাসে বিতর্ক এড়াতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমে জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির সম্ভাবনা নেই। তার ভাষ্য, ‘সাফটা চুক্তির দুটি সাংঘর্ষিক ধারা নিয়ে কোনো সমাধান আসেনি। যদিও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্যার পজেটিভ সমাধান খোঁজার জন্য বলেছেন।’
‘পাঠান’ আমদানি করছেন অ্যাকশন কাট এন্টারটেনমেন্টের অনন্য মামুন। এই পরিবেশক জানান, তথ্যমন্ত্রী স্যার মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি হাতে পেলেই মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেন্সর করিয়ে মুক্তি দিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। সবকিছু গোছানো আছে, অপেক্ষা শুধু অফিসিয়াল চিঠির।
এদিকে চ্যানেল আই অনলাইনকে পরিবেশক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি বিধায় ২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে না ভিনদেশি ‘পাঠান’। তবে ৩ মার্চ মুক্তি পেতে পারে হাজার কোটি ব্যবসা করা সুপারহিট এই বলিউড ছবি। সেই হিসেবে পাঠান’র জন্য দেশের সিনেমাগুলোতে মুক্তির প্রস্তুতি ও হল বুকিং করা হচ্ছে।
‘পাঠান’ যদি মুক্তি পায় তবে এর মাধ্যমে আট বছর পর বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে চলবে হিন্দি ছবি। সর্বশেষ সালমান খানের ‘ওয়ানটেড’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। সে সময় ছবিটি বাংলাদেশের সিনেমা হলে ব্যবসায়িকভাবে চরম লোকসানের মুখে পড়ে।
সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে দেশের ছবি ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ১৩ ফেব্রুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন মিলে গঠিত সম্মিলিত পরিষদ হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে তাদের অনাপত্তির কথা লিখিতভাবে আবেদন জানায়।
দুই বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ১৮টি হিন্দি ছবি আমদানির প্রস্তাব দেন। প্রথম বছর ১০টি এবং পরের বছর ৮টি ছবি আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের দুই ঈদ ও পূজায় হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে না। সকল সিনেমা হল বছরের ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ২০ সপ্তাহ আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতে পারবে।