চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নায়িকার রহস্যময় মৃত্যুর পর আজও বিক্রি হয়নি যেই বাড়ি

বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন পারভিন ববি। ২০০৫ সালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর চার দিন পর তার নিজের বাড়ি থেকে পচে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়। রহস্যময় সেই মৃত্যু যেই অ্যাপার্টমেন্টে ঘটেছিল, সেই অ্যাপার্টমেন্টটি আজও বিক্রি করা যায়নি!

পারভিন ববির অ্যাপার্টমেন্টটি সমুদ্রমুখী। মুম্বাইতে সমুদ্রমুখী অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা ও দাম আকাশচুম্বী হলেও এই অ্যাপার্টমেন্টটির দাম হাঁকানো হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি রূপি! কেউ যদি ভাড়া নিতে চায়, তাহলে মাসে তার গুণতে হবে ৪ লাখ রূপি। সমমানের অন্য ফ্ল্যাটের তুলনায় তা খুবই কম।

আর এত কমে বিক্রি করতে চাওয়া কিংবা ভাড়া দিতে চাওয়ার কারণ হলো এই অ্যাপার্টমেন্টকে ঘিরে মানুষের ভয়।

মুম্বাইয়ের জুহুর রিভিয়েরা বিল্ডিং-এর সপ্তম তলার এই অ্যাপার্টমেন্টটিতে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন পারভিন ববি। সাফল্যের চরম শিখরে থেকেও পারভিন ছিলেন চূড়ান্ত একা।

একাধিক ব্যর্থ সম্পর্ক, মাদকে আসক্তি, সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন মানসিকভাবে অস্থির। সবসময় ভীত হয়ে থাকতেন তিনি। প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ার শিকার হয়েছিলেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। এরপর একদিন ববির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ‘মাল্টিপল অর্গান ফেলিউর’-এর কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তার।

মৃত্যুর পর পারভিন ববির ফ্ল্যাটের পুরো ডেকোরেশন বদলানো হয়। নতুন করে সাজিয়ে-গুছিয়ে দরজার বাইরে লিখে দেয়া হয় ‘পারভিন ববি’স চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট।’ এরপর ২০১৪ সালে এক ব্যক্তি বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। আবাসিক এলাকায় কমার্শিয়াল ব্যবহার করার কারণে সেই ব্যক্তিকে অ্যাপার্টমেন্টটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। এরপর বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হলেও বিক্রি করা সম্ভব হয়নি অ্যাপার্টমেন্টটি।

পারভিন ববির রহস্যময় মৃত্যু ও চারদিন মৃতদেহ সেখানেই পড়ে থাকার কারণে ক্রেতারা ফ্ল্যাটটি নিতে অস্বস্তিবোধ করার কথা জানান কর্তৃপক্ষকে।

১৯৭২ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত বলিউডে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পারভিন ববি। মজবুর, নমক হালাল, কালা পাত্থার, দিওয়ার, অমর আকবর অ্যান্টনি, শান এসব ছবির জন্য তিনি দর্শক মনে বেঁচে থাকবেন।