পারসা ইভানা। চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে-এর মঞ্চ থেকে উঠে আসা মেয়েটি এখন পাক্কা অভিনেত্রী। এতটাই মনোযোগী যে বেছে বেছে নাটকে কাজ করছেন। পারসা ইভানার কথা, “যা পাচ্ছি তাই করছি না। আগের চেয়ে ম্যাচিউর হয়েছি। এই ম্যাচিউরিটি এসেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ কাজের পর থেকে।”
গত ঈদে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘বিদেশ’ এবং ‘হোটেল রিল্যাক্স’ দুটি কাজে নজর কেড়েছেন পারসা ইভানা। দর্শক প্রতিক্রিয়ায় জানা যায়, ‘বিদেশ’ ঈদের সেরা নাটক। অন্যদিকে ‘হোটেল রিল্যাক্স’র মাধ্যমে ওটিটির দুনিয়ায় অভিষিক্ত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। কাজ দুটিতে বেশ তৃপ্ত পারসা ইভানা। চ্যানেল আই অনলাইনকে এই অভিনেত্রী জানান, কোরবানির ঈদে তার দুটি নাটক চূড়ান্ত হয়েছে। একটি ‘কোরবানি’ এবং অন্যটি ‘কিডনি’।
পারসা ইভানা বলেন, ‘বিদেশ’ ইউটিউবে রেকর্ড গড়েছে। সর্বমহল থেকে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছি। অতীতের কাজগুলো থেকেও প্রশংসা পেয়েছি কিন্তু আমার কাছে অনুভব হয়েছে এবারের প্রশংসা একটু স্পেশাল। ‘হোটেল রিল্যাক্স’ ওটিটিতে অন্যান্য সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। দর্শক আমাকে টেক্সটে জানিয়েছে তারা পূর্ণ বিনোদন পেয়েছে। একটি গান আছে। সেখানে আমার নাচের বেশি প্রশংসা করেছেন। সবমিলিয়ে আমার ঈদ খুব ভালো গেছে।
দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া এই প্রশংসা পারসা ইভানাকে নার্ভাস করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দর্শক এখন আমার কাছ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করে। এজন্য নার্ভাস ও ভয় লাগে। আগে ওতটা বেছে কাজ করতাম না। স্ক্রিপ্টে ভালো মন্দ অতোকিছু বুঝতাম না। চাইলেই যে কাউকে শিডিউল দিতাম। কিন্তু এখন আমি ম্যাচিউরড।’
তিনি বলেন,“স্ক্রিপ্ট পড়েই বুঝতে পারি কোনটা নেগেটিভ এবং পজিটিভ ফিডব্যাক দেবে। এজন্য মাঝেমধ্যে নার্ভাস লাগে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। আগামীতে যে কাজ করবো সেটা আগের তুলনায় কীভাবে বেটার করতে পারবো সবসময় এসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়।”
সত্যি কথা বলতে, আমার মধ্যে এই বিষয়গুলো এসেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ (সিজন ৪)-এ যুক্ত হওয়ার পর থেকে। কারণ আগে এত ভালোবাসা পাইনি।
পারসা ইভানা জানান, বিপুল সংখ্যক দর্শক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখেন। এই দর্শকদের কাছে আমি পরিচিত। তিনি বলেন, আমি যেখানেই যাই মানুষ জানতে চান, ব্যাচেলর পয়েন্ট (সিজন ৫) কবে আসবে? শুনতে ভালো লাগে কিন্তু এই উত্তর আমার কাছে নেই। অমি ভাই ই একমাত্র সমাধান জানেন।
পারসা ইভানা বলেন, অমি ভাইয়ের এই কাজটি করার পর থেকে নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে মেলে ধরার চেষ্টা করছি। যে চরিত্রটি আগে করেছি সেটা রিপিট করছি না। এ কারণে অনেক কাজ ছেড়ে দিচ্ছি। এগুলো করলে হয়তো আর্থিকভাবে লাভবান হতাম। কিন্তু আমার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই করছি। সত্যি বলছি আমার জীবনে বেশি চাহিদা নেই, এতো বিলাসিতা নেই। ঠিক যতটুকু আমার দরকার তাই পেলেই আমি খুশি থাকি।
“অভিনয়ই আমার পেশা তাই এই দিকটাই মাথায় রাখতে হচ্ছে। আয়ের অন্য সোর্স থাকলে হয়তো আরও চুজি হতাম। আমি এখন কাজের সংখ্যা দেখি কোয়ালিটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। আমি মনে করি, কতগুলো কাজ করলাম এই সংখ্যার চেয়ে কতগুলো ভালো কাজ করলাম মানুষ তাই মনে রাখে।”