ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের ফুলপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিবানী সিংহ এবং অমর দাস দম্পতি অর্থের অভাবে তাদের নবজাতক কন্যাশিশুকে দান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি নবজাতকের বাবা-মা সাথে সুরক্ষা দফতরের কর্মীরা যোগাযোগ করলে তারা বলেন, মানুষ করতে পারব না। তাই বাচ্চাকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি।
গত ১৭ জানুয়ারি অষ্টম সন্তানের জন্ম দেন শিবানী সিংহ এবং অমর দাস দম্পতি। দিন দুই ধরে শিশুর কান্নার শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা বিষয়টি সুরক্ষা দপ্তর আশার কর্মীদের জানান।
আশাকর্মী মৌসুমী দত্ত বলেন, একটি অভিযোগ পেয়ে শনিবার শিবানীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে পরে জানান, এক জনকে বাচ্চাটি দিয়ে দিয়েছেন। সেই ব্যক্তির ঠিকানা চাওয়া হলে দিতে চাননি।
শিশুটিকে উদ্ধার করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, এ ভাবে একটি বাচ্চাকে কেউ কাউকে দিতে পারেন না। তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। আইন রয়েছে। তা মেনে বাচ্চা হস্তান্তর না হলে সেটা বেআইনি।
জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপ দাস জানান, তাঁরা খবর পেয়ে এলাকায় একটি দল পাঠিয়েছেন। গুড়িগুড়িপাল থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।