পাবজি খেলার মাধ্যমে পরিচিত হওয়া ভারতীয় যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পাকিস্তানি এক নারী। এই সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান ছেড়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। গ্রেফতারের পর জামিন পেয়ে এখন ভারতীয় প্রেমীকের সাথে সুখেই সংসার করছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
রোববার ৯ জুলাই ভারতীয় সংবাদ হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রেমীকা সীমা হায়দার নিজের ধর্ম ত্যাগ করে গ্রহণ করেছে প্রেমিক সচিন মীনার ধর্ম। এছাড়াও সীমার চার সন্তান সচিনকে ‘বাবা’ বলেও পরিচয় দিচ্ছেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি তারা উভয় জামিনে মুক্তি পান। এর আগে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সীমাকে এবং অনুপ্রবেশকারীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সচিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারাঘার থেকে জামিন পেয়ে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন কিছুক্ষণ। এ সময় সীমা বলেন, তিনি এখন ভারতীয়। পাশাপাশি তার দাবি, গত মার্চে নেপালে দু’জনে বিয়ে করেছিলেন। তাখন তিনি সচিনের ধর্ম গ্রহণ করেন। এমনকী তার চার সন্তানও সচিনকে বাবা বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নয়ডার জেল থেকে জামিন পান সীমা গুলাম হায়দার। একই সময় ছাড়া পান সচিন মীনাও।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সীমা বলেন, ‘আমি সচিনকে ছাড়া বাঁচতে পারি না। এবং যেহেতু তিনি আমার স্বামী, আমি তার ধর্ম ও সংস্কৃতিকে নিজের বলে মেনে নিয়েছি। আমার চার সন্তানের নামও পরিবর্তন করেছি। তারা সচিনকে বাবা বলে ডাকে এখন। সচিনের বাবা-মাও আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। তাদের সাথেই আমি থাকব।’
সচিনের প্রেমে পড়া নিয়ে সীমা বলেন, ‘আমি পাবজি খেলার সময় অনেক অপরিচিত লোকের সাথে অনলাইনে কথা বলতাম। কারণ আমি মাইক চালু রাখতাম। এভাবেই আমার সচিনের সাথে পরিচয় হয় এবং আমরা চ্যাটবক্সে কথোপকথন শুরু করি। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেলতাম। এমনকি চার ঘণ্টাও একটানা কথা বলে যেতাম। প্রায় চার মাস পর, আমরা মোবাইল নম্বর আদান প্রদান করি। এরপর ভয়েস এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করি। আমরা ২০২১ সালের জানুয়ারি একে অপরের প্রতি আমাদের ভালবাসার কথা প্রকাশ করি।’
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ অবৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে সীমাকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে সচিন ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু’জনই দাবি করেন, ‘গদর’ সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তারা।