১০ লাখ আফগান অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। তালেবান সরকার জানিয়েছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ৬০ হাজার আফগান অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
৪ অক্টোবর পাকিস্তান ঘোষণা করে তারা নথিবিহীন অভিবাসীদের বহিষ্কার করবে।
৩৫ বছর বয়সি মুহাম্মদ রহিম নামে এক আফগান অভিবাসী ব্যক্তি পাকিস্তান ছাড়ার সময় বলেন, তারা আমাদের ফেরত না পাঠালে আমরা সারাজীবন এখানেই থাকতাম। মুহাম্মদ রহিমের জন্ম পাকিস্তানে এবং তিনি পাকিস্তানের বিয়ে করেছেন। তার সন্তানের জন্মও পাকিস্তানে কিন্তু তাদের কোনো নথি পরিচয় নেই।
তালেবান শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মুতালেব হাক্কানি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমানে দৈনিক প্রত্যাবর্তনের পরিসংখ্যান স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
পাকিস্তানের করাচির সোহরাব গোথ এলাকার কাছে পাকিস্তানের বসবাসরত আফগান বসতিগুলোর একটি বড় অংশ। সেখানে আজিজুল্লাহ নামে একজন বাস সার্ভিস অপারেটর বলেছেন, তাকে যেন পাকিস্তান ছাড়তে না হয় সেটার জন্য অতিরিক্ত পরিষেবা চালু করেছিলেন তিনি।
আগে আমি সপ্তাহে একটি বাস চালাতাম, এখন আমাদের সপ্তাহে চার থেকে পাঁচটি বাস চলে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বহিষ্কার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
পাকিস্তানে ৪০ লাখের বেশি আফগান অভিবাসী এবং শরণার্থী রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ নথিভুক্ত না। ২০২১ সালে আফগানরা অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় অংশ তৈরি করে। তালেবানরা আফগানিস্তান পুনরুদ্ধার করার পরে অনেকেই এসেছিল পাকিস্তানে। এরআগে ১৯৭৯ সালের সোভিয়েত আক্রমণের পর থেকে একটি বড় সংখ্যক মানুষ পাকিস্তান আসতে শুরু করে।