ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সরিয়ে টি-টুয়েন্টিতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়ক বানানো হয়েছিল। তবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবারো বাবরকেই দলের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাবরের সমর্থনে সদ্য অধিনায়কত্ব হারানো শাহিন আফ্রিদির একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। আর তাতেই দেখা দিয়েছে সংকট। কারণ পাকিস্তানি পেসার নাকি বাবরকে নিয়ে কোনো বিবৃতিই দেননি। ভুয়া বিবৃতি দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে পিসিবি।
আফ্রিদির নাম ব্যবহারে প্রকাশিত বিবৃতিতে লেখা ছিল, ‘আমি সবসময় অধিনায়কত্বের স্মৃতি এবং সুযোগকে লালন করব। দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে, আমাদের অধিনায়ক বাবর আজমকে সমর্থন করা আমার কর্তব্য। আমি তার অধিনায়কত্বে খেলেছি এবং তার প্রতি শ্রদ্ধাই রয়েছে। আমি মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাকে সাহায্যের চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক। আমাদের লক্ষ্য একটাই, পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল হতে সাহায্য করা।’
পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সোমবার শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। যদিও ভুয়া বিবৃতি প্রকাশে বোর্ডের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষোভ প্রশমিত করার প্রচেষ্টা বাবর এবং শাহীনের মধ্যে উষ্ণতার পরিবর্তে উল্টো তিক্ততায় রূপ নিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
বাঁহাতি পেসারের অধীনে পাকিস্তান খেলেছে একটি মাত্র সিরিজ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। পিএসএলে আগের দুই মৌসুমে লাহোর কালান্দার্সকে শিরোপা জেতানো আফ্রিদির দল এবার তেমন কিছুই করতে পারেনি। আসরে কেবল এক ম্যাচে জয় পেয়েছে। এমন বাস্তবতায় পিসিবি চেয়ারম্যান আগেই নেতৃত্বে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তবে যেভাবে শাহিন আফ্রিদির কাছ থেকে বাবরকে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, তাতে নিশ্চিতভাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই বড় তারকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই জুটির মাঝে বছরের পর বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও এবার তা পড়েছে হুমকির মুখে। শাহিন গত বছর গত বছর বাবরের নেতৃত্বের প্রতি জনসমর্থনের প্রস্তাব দিলেও এবার বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পাকিস্তানি তারকা পেসারের অসন্তোষের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পিসিবি। চলতি নিকৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে বেরোতে অন্তত টেকসই উপায় খোঁজা জরুরি। নকভি এবং পিসিবি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করবে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। যদিও পুরো ঘটনাটি যেকোনোভাবে ক্ষোভ ছড়াবে বলে শঙ্কা জেগেছে। পিসিবি কতটা সফলভাবে পরিস্থিতি সামলায়, তা দেখারে বিষয়।