বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ ছিল পাকিস্তানের। প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের বৃত্তেই ছিল বাবর আজমরা। পরে টানা চার ম্যাচে হার। সবশেষ সাউথ আফ্রিকার কাছে হেরে তাদের বৈশ্বিক আসর থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষপর্যন্ত এক উইকেটের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিকি আর্থারের শিষ্যরা। বাবরের আক্ষেপ, আরও কিছু রান হলেই ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারতো।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টসে জিতে ৪৬.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮তম ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে প্রোটিয়া বাহিনী। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে টেবিলের শীর্ষে টেম্বা বাভুমার দল। অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থান ছয়ে।
ম্যাচ শেষে ২৯ বর্ষী বাবর বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। ম্যাচে আমরা ভালোভাবে লড়াই করেছি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আমাদের ১০-১৫ রান কম হয়েছে। শেষটা ভালো করতে পারিনি। আমি মনে করি ফাস্ট বোলাররা ভালো করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেলে ভালোভাবে টিকে থাকতো পাকিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন। প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সম্ভাবনাও জেগেছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটির। এলবিডব্লুর আবেদনে ইংলিশ আম্পায়ার হোয়ার্ফ সাড়া দিলেই জয় পেতো পাকিস্তান।
বাবরদের দেয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ইনিংসের ৪৬তম ওভারে হারিস রউফের শেষ বলটি তাবরাইজ শামসির প্যাডে লাগে। পাকিস্তান এলবিডব্লুর আবেদন করলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাউথ আফ্রিকার শেষ উইকেট জুটি হওয়ায় মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নেয়। তাতে দেখা যায় রউফের করা ইন সুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি স্পর্শ করেনি ওই বল। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি, শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতে সাউথ আফ্রিকা।
‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি আম্পায়ার আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেতো। আমার মনে হয় এটি আমাদের সবাইকে হতাশ করেছে। আমাদের এ ম্যাচ জেতার এবং টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সুযোগ ছিল। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়েছে, সেটাও আসলে খেলারই অংশ। আমাদের পরের তিনটি ম্যাচে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’
কলকাতায় মঙ্গলবার পাকিস্তানের পরের তিন ম্যাচের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর দুই ম্যাচ নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।