চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভূমিকম্পে মৃত প্রায় ৮ হাজার, তীব্র ঠান্ডায় সঙ্কটময় পরিস্থিতি

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি  মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলির নীচে বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে বের করতে প্রতি মুহূর্তে তীব্র ঠান্ডার সাথে লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। 

সিরিয়া ও তুরস্ক দুই দেশে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচেও থাকছে। অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়া এলাকাগুলোতে মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। তীব্র ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে শিশুরা। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ ধ্বংসাবশেষ পোড়াচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোতে আন্তর্জাতিক সাহায্য আসা শুরু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানকার সবাই কোনো না কোনোভাবে সংকটে পড়েছেন। শুধু তুরস্কের ভূমিকম্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ। আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০টি প্রদেশ। সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ও উদ্ধারকাজে গতি আনতে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা এটি। ফলে তুরস্কের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার আলেপ্পো, ইদলিব, হামা ও লাতাকিয়া প্রদেশ। গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ার এই সীমান্তবর্তী এলাকা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার ৪০ লাখ মানুষ ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মতে, ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি তুরস্ক অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হলেও ১১ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার অবস্থা খুবই নাজুক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যে মানবিক সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু করেছে।